অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা বিএনপির..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir has affirmed full trust in the integrity of the interim government’s chief adviser and all advisers, rejecting reports linking the party to corruption..

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সব উপদেষ্টার সততা ও মর্যাদায় দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে, তা বিএনপির নয় বলেও তিনি স্পষ্ট করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সততা ও মর্যাদার প্রতি বিএনপির পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকায় একজন সাবেক সচিবকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টা নাকি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

মির্জা ফখরুল বিষয়টি স্পষ্টভাবে নাকচ করে বলেন, “এটি সম্পূর্ণভাবে আমাদের দলের বক্তব্য নয়। এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারের সব উপদেষ্টাকে অত্যন্ত সম্মান করি এবং তাদের সততা ও নৈতিকতার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখি।”

এর আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের বরাত দিয়ে এই অভিযোগ প্রকাশ করে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি শুনেছি একজন সাবেক সচিব এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু বলে থাকেন, তবে সেটি তার ব্যক্তিগত মতামত। দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই, এবং ওই বক্তব্যের দায়ভার সম্পূর্ণ তার নিজের।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিসট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের এক সেমিনারে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আবদুস সাত্তার অভিযোগ করেন, অন্তত আটজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে। তবুও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস)-এর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, কিন্তু কোনো তদন্ত হয়নি। এ ছাড়া, নূরজাহান বেগমের মতো ব্যক্তির হাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালনার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। একইভাবে, অভিজ্ঞতা ছাড়াই স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া—দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান কতটা যৌক্তিক, সেটিও তিনি বিতর্কের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিএনপি পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, এই অভিযোগ বা মন্তব্য দলের অবস্থান নয়, বরং ব্যক্তিগত মতামত মাত্র। মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেছেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উপদেষ্টার সততা ও মর্যাদায় আস্থা রাখি, এবং ভিত্তিহীন অভিযোগে আমরা বিশ্বাস করি না।

No comments found