যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না অভিযোগ করেছেন, তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনপ্রিয়তা দেখে একটি গোপন সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঠেকাতে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয়তাবাদী তরুণদের মধ্যে আদর্শিক জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেখে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে— এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, একটি গোপন সংগঠন রাজনৈতিকভাবে চক্রান্তমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, যা অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থানকে উৎসাহিত করতে পারে। এজন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল কর্মী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, যার তীব্র নিন্দা জানায় যুবদল ও ছাত্রদল। একই সঙ্গে দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সাংবাদিকদের সামনে যুবদল সভাপতি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, সমাজে যখন জাতীয়তাবাদী চেতনা শক্তিশালী হচ্ছে, তখনই একদল গোপনে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়। আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটিয়ে যেন কোনও অগণতান্ত্রিক শক্তি সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি জানান, যুবদলের কর্মী সোহাগকে হত্যা মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও মূল অপরাধীদের বাদ দিয়ে অন্যদের আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো গোপন এজেন্ডা আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানান মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, আমরা সবসময় দায়িত্বশীল রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
খুলনায় যুবদল কর্মীকে রগ কেটে হত্যার ঘটনাকেও তুলে ধরেন যুবদল সভাপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই ধরনের নৃশংস রাজনীতির ইতিহাস কার, তা জনগণ জানে। প্রশাসনের নীরবতা প্রমাণ করে, তারা কোনো পক্ষ নিচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— এই রকম বর্বর ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর গভীরে প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট। যদি সরকার সত্যিই শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, তবে এসব হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার নেপথ্যে যাদের হাত আছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা একসঙ্গে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারা রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, জনগণের মধ্যে যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা দমন করতে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।