অভিযোগ গ্রহণ করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইদা রওশন আরা অভয়নগর থানার ওসিকে তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, নওয়াপাড়ার রমজান আলীর ছেলে সাকির আহমেদ, জয়নালের ছেলে কামরুজ্জামান মিঠু এবং গোয়াখোলার খোকা মাস্টারের ছেলে সম্রাট।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, মেহেদী হাসান নওয়াপাড়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ৭ জুলাই, আসামি জনি মেহেদীকে তার অফিসে ডেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই দিন মেহেদী হাসান ধার করে ১ লাখ টাকা দেন। পরে মিঠু ফোন করে তাকে আবার জনির অফিসে আসতে বলেন। সেখানে জনি তাকে জানায়, তার জমি বিক্রি থেকে ৩০ লাখ টাকা লাভ হয়েছে এবং এটি চাঁদা হিসেবে দিতে হবে। মেহেদী কথা বলতে চাইলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
আসামিরা মারপিট ও খুন-জখমের ভয় দেখিয়ে তিনটি ১শ টাকার ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরে মিঠু ও সম্রাট মোটরসাইকেলে মেহেদীকে বাড়ি পৌঁছে দেন এবং ৩০ লাখ টাকার চেক দাবি করেন। ভয়ে মেহেদীর স্ত্রী একটি ৫০ হাজার টাকার স্বাক্ষরিত চেক ও দুইটি স্বাক্ষরবিহীন চেক নিয়ে দ্রুত চলে যান। আসামিরা ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন এবং পরদিন স্বাক্ষরবিহীন চেকে স্বাক্ষর করাতে চাপ প্রয়োগ করেন। না করলে নওয়াপাড়ায় গিয়ে খুন-জখমের হুমকি দেন।
মেহেদীকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে যশোর পরে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার পরিবার আসামিদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না। মেহেদী হাসান চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ১৩ আগস্ট আদালতে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজের কাছ থেকে চার কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে মাটিতে পুতে রাখার অভিযোগে মামলা করেছিলেন তার স্ত্রী আসমা খাতুন। সেই মামলায় জনি ও তার বাবা কামরুজ্জামান কারাগারে আটক রয়েছেন।