এত চাওয়া! এত না পাওয়ার আকুতি,
তবু কেউ কারো নয়
কেউ জানেনা কেন এত অভিমান
কেন এত বিরহ-বেদন
কেন হয়নি দুজন দুজনার কাছে আসা
কেউ জানে না- দুজনেই পুড়ছে কত!
কেন এত চাপা অভিমান
তাও অজানা।
এভাবেই চলে গেছে বহু সময়
দীর্ঘ বারটি বছর!
হঠাৎ সামনে তুমি
আমি বাকরুদ্ধ, থমকে গেছে আমার সব এমনকি নিশ্বাস পর্যন্ত!
আজ আর অভিমান করলে না
এত বছর পর আর অভিমান করে কি লাভ
তাই হয়তো!
এখন কারো ঘরের গৃহিণী হয়েছো
মা হয়েছো,
এখন আর অভিমান রেখে কি লাভ, তাই জিজ্ঞেস করলে কেমন আছি?
আমি শুধু দেখলাম, চোখ দুটো আমার দেখলো, দেখলো দীর্ঘ বারটি বছরের অভিমান।
বুঝে গেলাম আমি তোমার ঠিকই আছি
তুমিও আছো আমার
শুধু নেই তুমি-আমি দুজনার।
হৃদয় শান্ত-শ্রান্ত হল, আকাশে মেঘ ডাকছে
চারদিকে বাতাস ছুটতে শুরু করেছে
চোখের কোণে দুফোঁটা পানি জমেছে
একটা শূন্যতা বুকের ভেতর-
অভিমানের বিদায়!
চাদরটা তুলে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আনমনেই মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-
ভালোবাসার বাহ্যিক কোন রূপ নেই
আলাদা কোন নাম নেই, রঙ নেই;
কেবল হৃদয়ের অনুভব।
→এম. আর. সুমন