মৌসুমজুড়ে ব্যর্থতার মূল কারণ হিসেবে সামনে এসেছে একের পর এক ইনজুরি। সাবেক কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে এমন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল যে, একাদশ গঠন করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর তথ্য অনুযায়ী, কেবল নভেম্বর মাস পর্যন্তই ইনজুরির ঘটনা ঘটেছে ২৫ বার! দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বেশিরভাগ সময়ই থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে।
ইনজুরি তালিকাটা রীতিমতো ভয়াবহ। জুদে বেলিংহ্যাম এখনো মাঠে ফিরতে পারেননি, মৌসুমের পুরোটা মিস করেছেন দানি কারভাহাল। ডেভিড আলাবা, এডার মিলিটাও, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও অরেলিন চুয়ামেনির মতো নামগুলোও দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন সাইডলাইনে। স্বল্প সময়ের জন্য চোটে পড়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, টনি রুডিগার, কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং লুকাস ভাসকেজরাও।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে রক্ষণভাগে। এতটাই যে কোচকে বাধ্য হয়ে ‘বি’ টিমের খেলোয়াড়দের দলে টানতে হয়। মৌসুম শেষে তাই স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন এনেছে রিয়াল। বোর্নেমাউথ থেকে ২০ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক ডিন হুইসেন, লিভারপুল থেকে আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড এবং বেনফিকা থেকে আলভারো ক্যারেরাসকে নিয়ে এসেছে ক্লাবটি।
শুধু স্কোয়াড নয়, ইনজুরি সমস্যা মোকাবিলায় রিয়াল ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের মেডিক্যাল বিভাগও। পুরনো স্টাফদের ছেঁটে ফেলে নতুন করে গঠন করা হচ্ছে বিভাগটি। বার্সেলোনা, রিয়াল বেতিস ও মালাগা থেকে আনা হচ্ছে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ফিলিপে সেগুরাকে—যিনি ২০২১ সালে গ্রানাডা থেকে ভালদেবাসে এসেছিলেন এবং ২০২৩ সালে একবার প্রমোশনও পেয়েছিলেন।
নতুন কোচ শাবি আলোনসো পুরোপুরি আস্থা রাখছেন এই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর। ইনজুরির দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে লস ব্লাঙ্কোস।