রিপোর্ট মেহেদী হাসান: নরসিংদীর বেলাব উপজেলার কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও ধারণ ও নাচানাচির ঘটনায় সাত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রুবায়েত হোসেন জানান, অষ্টম শ্রেণির ২ জন এবং নবম শ্রেণির ৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে নাচানাচির ভিডিও করে। ভিডিওটি পরবর্তীতে টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করে।
“শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন এবং নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ওই সাতজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে,” — বলেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন থাকা সম্পূর্ণরূপে নিয়মবহির্ভূত। এটি বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার জন্য হুমকি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠকে বহিষ্কার ছাড়াও একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি পুরো ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও জড়িতদের বক্তব্য নিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করবে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক অভিভাবক জানান, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় রোধে স্কুলে মোবাইল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত।
“বিদ্যালয় কেবল লেখাপড়ার জায়গা নয়, এটি নৈতিক শিক্ষা ও শৃঙ্খলার কেন্দ্র। এখানে প্রযুক্তির অপব্যবহার সহ্য করা যায় না,”— বলেন এক অভিভাবক।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম খলিলকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল করিম জানান, “আপনাদের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারছি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার না হলে, এটি শিক্ষার পরিবেশ ও নৈতিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই অভিভাবক, শিক্ষক ও প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে—এমন অপসংস্কৃতি রোধে।