রিপোর্ট মেহেদী হাসান: ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে অবস্থিত নরসিংদী রেলস্টেশনে অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত তিনটি আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত যাত্রাবিরতি চালু হয়েছে। এতে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে স্বস্তির হাসি।
রোববার সকাল ৯:৩০টায় এক আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রাবিরতির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
যেসব ট্রেনের যাত্রাবিরতি চালু হলো: মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলী ও উপবন এক্সপ্রেস (ডাউন)।
ট্রেনগুলো স্টেশনে থামলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন যাত্রী ও এলাকাবাসী। ট্রেন পরিচালকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। যাত্রীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে উদযাপন করে নরসিংদী রেলযাত্রী অধিকার ফোরাম।
নতুন এই ৩টি ট্রেন যুক্ত হওয়ায় নরসিংদী রেলস্টেশনে এখন মোট ৮টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীদের সুবিধার্থেই এই সিদ্ধান্ত।
রেলযাত্রী অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. আমজাদ জুয়েল বলেন: “নরসিংদী জেলার লক্ষাধিক যাত্রী রেলপথে যাতায়াত করেন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েই রেল মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে যাত্রী দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “নরসিংদী একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। দেশের অন্যতম পাইকারি কাপড়ের বাজার শেখেরচর-বাবুরহাট, কৃষিশিল্প, শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে এই জেলা প্রাপ্য আরও ভালো রেল সংযোগ। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে এখনকার যোগাযোগ আরও সহজ হবে। উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, রেল পুলিশ উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, রেলযাত্রী অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যাত্রীসাধারণ।
নরসিংদী স্টেশনকে পূর্ণতা দিতে এ যাত্রাবিরতি কার্যকর সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তন।
এখন সময় এ সেবা টিকিয়ে রাখার, যাত্রীসচেতনতা বাড়ানোর, এবং রেল ব্যবস্থাকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার।



















