উপজেলা শাখা জামায়াতে ইসলামী মানব বন্ধনকে সমর্থন জানিয়ে ও কৃষকদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল এগারোটার সময় উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে নওগাঁ-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ভুক্তভোগীর পরিবার ও কৃষক বাঁচাও ফোরামের সদস্যরা।মানববন্ধন শেষে কৃষক বাঁচাও ফোরামের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. জেসমিন আক্তার বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এর আগে ১৭ এপ্রিল ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ধামইরহাট বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং ধামইরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা দায়ের করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না নেওয়ার অভিযোগ করা হয় এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান মানববন্ধনে আগত বিক্ষোভকারীরা।
বক্তারা জানান, গত ২৭ এপ্রিল রবিবার উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দেউলবাড়ী গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ভুক্তভোগী কৃষক আতোয়ার রহমান তার ৩২ শতাংশ জমিতে পানি সেচের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত ডিপটিওবয়েল অপারেটর মোসা. মিম্মাহর পিতা মাজেদুল ইসলামকে পূর্বের চেয়ে বিঘা প্রতি ৫০০ টাকা বেশি পরিশোধ করেও ন্যায্য মূল্যে সেচের পর্যাপ্ত পানি দেওয়া হয়নি। এতে করে ওই কৃষক প্রতিবাদ জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রশিদ বলেন, ডিপ টিউবয়েলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালী আইজান আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আক্কাস আলী অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও ন্যায্য মূল্যে পর্যাপ্ত পানি সেচ না দেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ করায় মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আক্কাস আলী ওইদিন ভুক্তভোগী কৃষক আতোয়ারকে মেরে এক পা ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. জেসমিন আক্তার বলেন, মানববন্ধনের একটি স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত দোষীদের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক বাঁচাও ফোরামের আহ্বায়ক আতাউর রহমান, আব্দুর রশিদ, ভুক্তভোগী আতাউর রহমানের পরিবারসহ কৃষক বাঁচাও ফোরামের পাঁচ শতাধিক সদস্যসহ ওই গ্রামের বাসিন্দারা।