বাংলাদেশের বন্দরে পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই, তবে আমদানিকারকরা নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানার বিধান কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। একই সঙ্গে বাজারের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে, তবে কিছু ব্যবসায়ীর গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষকে সংকটে পড়তে হয়। এ সমস্যা নিরসনে সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে এক চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন:
"আমদানিকৃত পণ্য নির্ধারিত সময়ে খালাস করতে হবে, তা না হলে তিনগুণ জরিমানা গুনতে হবে আমদানিকারকদের।"
সাখাওয়াত হোসেন জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট রয়েছে, তবে শাক-সবজির দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে, যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোনো মহল অযথা মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে।
আজকের অনুষ্ঠানে শুধু বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়নি, শ্রমিকদের কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া এমভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযান দুর্ঘটনায় নিহত ৬ শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সহায়তার বিবরণ:
-
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে প্রতি পরিবারকে ২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
-
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ৩ লাখ টাকা করে চেক প্রদান করা হয়েছে।
বন্দর থেকে পণ্য খালাসে দেরি করলে যাতে সরবরাহ চাপে না পড়ে এবং বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। সরকারের মনিটরিং টিমের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং জরিমানা ব্যবস্থাও কঠোরভাবে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হতে হবে, অন্যথায় কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের প্রতি মানবিক সহযোগিতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয় জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে, যা বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।