close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচনে বোঝা যাবে কারা দুই-তিনটা সিট পাবে, দেশছাড়া হবে: দুদু..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP Vice Chairman Shamsuzzaman Dudu has warned that only the election will reveal which parties are truly strong and which ones will lose their deposits and flee the country.

জাতীয় প্রেস ক্লাবে নবীন দলের প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “নির্বাচনই বলে দেবে কারা সত্যিকার শক্তিশালী আর কারা জামানত হারিয়ে দেশ ছাড়বে।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেকেই বিএনপিকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছেন না, কিন্তু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনই বলে দেবে কোন দল আসলেই জনপ্রিয় আর কারা দুই-তিনটি আসনের বেশি জিততে পারবে না। এমনকি কারা জামানত হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হবে— সেটাও পরিষ্কার হবে নির্বাচনের মাধ্যমেই।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যারা বিএনপিকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, তারাই নির্বাচনের মাঠে এসে বাস্তবতা বুঝবে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই সংকট নিরসনের একমাত্র উপায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার নানা কৌশলে সেই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে। বিচার, সংস্কার কিংবা নতুন কোনো ফেতনা সৃষ্টি করে ভোট এড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার।’

শুক্রবার, ১১ জুলাই, জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

দুদু বলেন, দেশের রাজনীতিতে একটি বড় অংশ এমন কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে, যারা মনে করে শুধু তারাই ক্ষমতায় যাওয়ার অধিকার রাখে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি নতুন কোনো শক্তি নয়— এটি আগেও একাধিকবার দেশের জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেন, তখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আশার সঞ্চার হয়। তার আগ পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি ছিল চরম অনিশ্চয়তায় ভরা। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। বৈঠকের পর একটি বার্তা যায়— নির্বাচন হবেই। সেই ধারাবাহিকতায় সরকারের উচিত এখনই একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই হোক কিংবা মাঝামাঝি— নির্বাচনের দিন জানালে রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেকটাই দূর হবে।

দুদু অভিযোগ করেন, বিএনপির ওপর লাগাতার দমন-পীড়ন চালিয়ে, বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং হাজারো নেতাকর্মীকে সাজা দিয়ে সরকার তার রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রমাণ করেছে। শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন, এই দমননীতি চালিয়ে বিএনপিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা ও সংগ্রাম বিএনপিকে বারবার পুনর্জন্ম দিয়েছে।

তিনি শহীদ ছাত্র ও জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, তাদের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। যারা এখনো আহত, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, বিএনপিরও আছে। আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব আছে এই আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতি।’

শেষে দুদু বলেন, গণতন্ত্রই একমাত্র পথ, যেটি বাংলাদেশকে স্বৈরতন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারে। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরে আসবে না, গণতন্ত্র ছাড়া জনগণের কথা বলার সুযোগ থাকবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেদেরই ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা আগামী ১০০ বছরেও রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না, কারণ হত্যার রাজনীতি, দমন-পীড়নের রাজনীতি কোনোদিন টিকে থাকে না। শেখ হাসিনা নিজেই আওয়ামী লীগের কবর রচনা করেছেন।’

Nessun commento trovato