জাতীয় নাগরিক পার্টির (জাপ) নেতা নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া ও পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের প্রতীক ‘শাপলা’ দিতে ব্যর্থ হলে রাজপথে আন্দোলনের পথে যাবেন।
আপনার দেওয়া ভিডিও লিংকটি এর আগের উত্তরে ব্যবহার করা হয়েছে। সেই লিংকটি (https://youtu.be/nrY7-Dnhdj0?si=x4ga_0e_tjQOiBkL) জাতীয় নাগরিক পার্টির (জাপ) নেতা নাহিদ ইসলাম-এর নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন এবং ‘শাপলা’ প্রতীক সংক্রান্ত হুঁশিয়ারি সম্পর্কিত ছিল।
আমি আপনার পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেই ভিডিওর ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ, বিস্তারিত, পেশাদার সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করে দিয়েছি, যেখানে কোনো টাইমস্ট্যাম্প ছিল না, একটি বাংলায় ও একটি ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ছিল এবং শেষে SEO হ্যাশট্যাগ যুক্ত ছিল।
যদি আপনি একই ভিডিওর জন্য নতুন কোনো বিশ্লেষণ বা ভিন্ন কোনো ধরনের প্রতিবেদন চান, তবে দয়া করে আমাকে জানান। অন্যথায়, আমি পূর্বের প্রতিবেদনটিই পুনরায় এখানে উপস্থাপন করছি:
আমি 'আই নিউজ বিডি'-এর একজন অভিজ্ঞ সম্পাদক ও সাংবাদিক হিসেবে আপনার দেওয়া ইউটিউব ভিডিওর তথ্যের ভিত্তিতে আপনার সমস্ত নির্দেশনা (সময় নির্দেশক বর্জন, দুটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং SEO হ্যাশট্যাগ সংযোজন) মেনে একটি পূর্ণাঙ্গ, বিস্তারিত ও পেশাদার সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করছি।
শক্তিশালী শিরোনাম
‘শাপলাই হবে প্রতীক’: নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নাহিদ ইসলাম; রাজপথের হুঁশিয়ারি
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা (বাংলা)
জাতীয় নাগরিক পার্টির (জাপ) নেতা নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া ও পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের প্রতীক ‘শাপলা’ দিতে ব্যর্থ হলে রাজপথে আন্দোলনের পথে যাবেন।
Short Description (English)
Nahid Islam, a leader of Jatiyo Nagorik Party (JAP), questioned the formation and impartiality of the Election Commission (EC). He asserted that if the party is denied their 'Shapla' symbol, they will resort to street protests.
মূল প্রতিবেদন
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (জাপ) নেতা নাহিদ ইসলাম। নির্বাচন কমিশন সঠিক উপায়ে গঠিত হয়নি এবং তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে তিনি প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি তিনি ইসির পুনর্গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন।
নাহিদ ইসলাম জোর দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের এই টানাপোড়েন শুধু দলীয় বিষয় নয়। বরং তারা সন্দেহ প্রকাশ করছেন যে, এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন পরিচালনা করার ইচ্ছা বা সক্ষমতা রাখে কিনা। এই গভীর উদ্বেগের কারণেই নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের অবস্থান কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতীক ইস্যু নিয়ে তাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শাপলা এবং শাপলাই হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির মার্কা। তিনি এই প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি নির্বাচন কমিশন কোনো সাংবিধানিক আইন না মেনে, গায়ের জোরে বা 'অন্য কারো প্রেসক্রিপশনে' কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়, তবে তার প্রতিবাদ জানাতে তারা প্রস্তুত।
তিনি ইসির প্রতি একটি সহজ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন: “আপনি আমাকে একটা আইনি ব্যাখ্যা দিবেন যে কেন আমি শাপলা পেতে পারবো না। সাংবিধানিক আইনি একটা ব্যাখ্যা দিবেন, আমি অন্য প্রতীক নিয়ে নিব। আর যদি আপনি ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে আপনাকে এই প্রতীকটা দিতে হবে”।
নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনকে মনে করিয়ে দেন যে, তারা একটি আইনি ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই খেয়ালখুশি মতো বা অন্য কারো প্রভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
জাপের এই নেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখার অপচেষ্টা করা হয়, তবে রাজপথই হবে তাদের একমাত্র জায়গা। তবে তিনি চান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে, কোনো আন্দোলনে যেতে নয়।
নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন খুবই দ্রুত, তাই তারাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তাদের প্রার্থী তালিকা দ্রুতই চূড়ান্ত হবে।
এছাড়াও, নাহিদ ইসলাম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষত, সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কিভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেদিকে তারা দৃষ্টি রাখছেন। জনপ্রশাসন কমিটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, নিয়োগগুলোতে কোনো পক্ষপাত হচ্ছে কিনা এবং মেধা-যোগ্যতার ভিত্তিতে বদলিগুলো হচ্ছে কিনা—এ বিষয়ে তাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন যে, পরবর্তী দিনগুলোতে তারা এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
নাহিদ ইসলামের এই কঠোর বক্তব্য এবং রাজপথের হুঁশিয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সাংবিধানিক মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দেশের নির্বাচন পূর্ববর্তী রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করলো।