close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নেত্রকোনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

Md Uzzal Mia avatar   
Md Uzzal Mia
নেত্রকোনার পূর্বধলায় পূর্ব শত্রুতার কারণে কাকন আহমেদ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।..

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কাকন আহমেদ (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে নারান্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া বাজারসংলগ্ন কেলনের বাড়ির পাশে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাকন আহমেদ দাপুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. আব্দুর রহমান ও মোছা. আমেনা খাতুন দম্পতির ছেলে। তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময়, আগে থেকে ওত পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। 

স্থানীয়দের তৎপরতা ও চিকিৎসা

স্থানীয়দের সহায়তায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাকনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

অভিযুক্ত ও আইনি পদক্ষেপ

পরিবার ও পুলিশের দাবি, মৃত্যুর আগে কাকন হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে মো. আব্দুর রহিম (৩০), মো. হযরত আলী (২২), এবং মো. আবুল কালাম (২৫)। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত হামলায় জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। 

পুলিশি তদন্ত ও স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

সামাজিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা

এই হত্যাকাণ্ড স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। 

এই ঘটনার পেছনের কারণ এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Nema komentara