আমানত সংগ্রহ করে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি—টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুয়ারেখা ইউনিয়নের গাজিয়া গ্রামের বাসিন্দা নৃপেন মন্ডল একসময় ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন। পরে গ্রামে ফিরে ধীরে ধীরে স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করেন। এরপর ‘আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির’ পরিচালক পরিচয়ে দরিদ্র, দিনমজুর ও অবসরপ্রাপ্তদের কাছ থেকে এককালীন ও মাসিক আমানতের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন।
কয়েক মাস আগে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহকেরা টাকা ফেরতের জন্য তার বাড়িতে গেলে, নৃপেন মন্ডল তাদের বিরুদ্ধে বসতঘর লুটের মামলা করেন। এতে গ্রামবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।
সবিতা মজুমদার (৬৫) নামে এক ভুক্তভোগী জানান, “আমি আর আমার ছেলে মিলে সাড়ে চার লাখ টাকা জমা দিয়েছি। মেয়াদ শেষে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল নৃপেন। কিন্তু এখন উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়েছে।”
স্থানীয় যুবক অর্ণব ঠাকুর বলেন, “তিনি গ্রামের বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে অর্ধকোটি টাকা নিয়েছেন। মেম্বার সুজিত ভাই তাকে টাকা ফেরত দিতে বলায় তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছে।”
ইউপি সদস্য সুজিত কুমার বৈরাগী বলেন, “গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে আমি টাকা ফেরত দিতে বলেছিলাম। কিন্তু পাওনাদারদের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দিয়েছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে নৃপেন মন্ডল দাবি করেন, তিনি কোনো পরিচালক নন, বরং ওই সমিতির বেতনের কর্মী ছিলেন। তার ঘরবাড়ি লুট হওয়ায় তিনি মামলা করেছেন।
নেছারাবাদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি বলেন, “ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করলে বিষয়টি আইনগতভাবে দেখা হবে।”