close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নারী ফুটবলের উজ্জীবনে জোয়ার, কিন্তু শূন্য গ্যালারি—দায়ী কে, বাফুফে না সাফ?..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জানান দিয়েছে স্বাগতিকরা।
ছবি : সংগৃহীত!..

তবে মাঠের পারফরম্যান্স যতটা উজ্জ্বল, গ্যালারির চিত্র ছিল ঠিক ততটাই বিপরীত—শূন্যতা আর হাহাকার।  ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ৩টায়, অথচ টিকিট কাউন্টার খুলেছে মাত্র আধাঘণ্টা আগে, দুপুর আড়াইটায়। এমন ব্যবস্থাপনায় বিস্মিত ফুটবলপ্রেমীরা। দর্শকদের অভিযোগ—পর্যাপ্ত প্রচারণা ছিল না, যাতায়াত ব্যবস্থাও ছিল দুর্বিষহ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পৌঁছাতে নেই কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। এক দর্শক বলেন, “বিশেষ বাসের ব্যবস্থা থাকলে হয়তো অনেকেই আসতেন।”

আশ্চর্য হলেও সত্য, এই দলে রয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক আফিঈদা খন্দকারসহ অন্তত ৯ জন ফুটবলার যারা এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এমন তারকাসমৃদ্ধ দল মাঠে থাকলেও গ্যালারির শূন্যতা ফুটবলপ্রেমীদের ভাবিয়ে তুলেছে।

এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে—গ্যালারির এমন চিত্রের দায় কার? আয়োজনের গাফিলতিতে চোখ পড়তেই বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, “এটি মার্কেটিং বিভাগের দায়িত্ব।” অন্যদিকে বাফুফের সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বলছেন, “প্রচার ও টিকিট কাউন্টার সংক্রান্ত কিছু দায়িত্ব সাফ কর্তৃপক্ষের। তবে সন্ধ্যার খেলা হলে দর্শক আসবে বলে আমি আশাবাদী।”

তবে মাঠে খেলোয়াড়দের প্রাণপণ লড়াই আর গ্যালারির নীরবতা—এই ব্যবধান ক্রমেই দৃষ্টিকটু হয়ে উঠছে। নারী ফুটবলের উত্থান যদি সত্যিই দীর্ঘস্থায়ী করতে হয়, তাহলে মাঠের বাইরের সংগঠক ও কর্তৃপক্ষদেরও সেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ফুটবল শুধু মাঠেই খেলা হয় না, তাকে ঘিরে গড়ে উঠতে হয় পরিবেশ, আবহ আর সমর্থনের আবরণ। সেখানেই যেন বড় এক ফাঁক থেকে যাচ্ছে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली