নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এভেস্টা অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর ও হাত- পা বেঁধে একটি কক্ষে আটক রেখে, আনুমানিক ৩ কোটি ৩৪লাখ ৩১ হাজার ৯৫০ টাকার মালামাল লুট করে নেয়ার ঘটনায় মো. শফিক (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১।
১৩ এপ্রিল রোববার রাত ৮টায় সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. শফিক সিদ্ধিরগঞ্জ নিমাই কাসারী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। এর আগে শনিবার একই ঘটনায়, সিদ্ধিরগঞ্জের জহিরের ছেলে পায়েলকে (৩২) সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ১২ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১১ জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জে সাহেব পাড়া এলাকায় এভেস্টা অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লি. প্রতিষ্ঠানে গত ২৬ মার্চ ৮-১০ জন আনসার সদস্য বাদীর প্রতিষ্ঠানে ডিউটি করে। বিকেলে ২ জন আনসার সদস্য বাহিরে ইফতার কিনে প্রতিষ্ঠানের উত্তর পাশের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময়, অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতিকারীরা অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে ভিতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীরা দায়িত্বরত আনসারদের মারধর করে। আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গুলি ও মোবাইল ফোন দুষ্কৃতিকারীরা দখলে নেয় এবং আনসার সদস্যদের হাত-পা বেঁধে প্রতিষ্ঠানের ২য় তলার একটি অফিস রুমে রেখে মালামাল লুট করে।
র্যাব আরও জানায়, দুষ্কৃতিকারীরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মেইন লাইন হতে বিভিন্ন মেশিনের সহিত সংযুক্ত পাওয়ার ক্যাবলসহ সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪লাখ ৩১ হাজার ৯৫০ টাকার মালামাল লুট করে। দুষ্কৃতিকারীরা যাওয়ার পর আনসার সদস্যরা পারস্পরিক সহায়তায় তাহাদের বাঁধন খুলে অফিস কক্ষের জানালা দিয়ে বাহির হয়ে, গ্রিলের মাধ্যমে নিচে নেমে প্রতিষ্ঠানের উত্তর পার্শ্বের মূল ফটক খোলা দেখতে পায়। ফ্লোরে ট্রাকের চাকার দাগ দেখতে পায়। আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গুলি ও মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানের ভবনের সিঁড়ির সামনে পাকা ফ্লোরে পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় আনসার সদস্যরা বাদীকে ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানালে বাদী ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনার বিস্তারিত শুনে প্রতিষ্ঠানের লুণ্ঠিত হওয়া মালামালের হিসাব-নিকাশান্তে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা শেষে থানায় মামলা দায়ের করে। চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। যা পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকবে।
আটক আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
