দগ্ধদের মধ্যে রয়েছেন—
• তানজিল ইসলাম (৪০)
• তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫)
• তাদের সন্তান তিশা (১৭) ও আরাফাত (১৫)
• হাসান (৩৫)
• তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২)
• তাদের সন্তান মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪) ও নবজাতক ইমাম উদ্দিন (১ মাস)
• আসমা ও সালমার মা তাহেরা খাতুন (৬০)
দগ্ধদের মধ্যে নয়জনকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। অপর একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, “টিনসেড বাড়িতে আমার দুই ভাবি আসমা ও সালমার পরিবার ভাড়া থাকতেন। তাদের সঙ্গে মা-ও ছিলেন। বাড়িটির পাশ দিয়ে যাওয়া পাইপলাইন থেকে গ্যাস লিক হয়ে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। রাতের বেলায় কোনো কারণে আগুন ধরে গেলে মুহূর্তেই ঘর জ্বলে ওঠে। সবাই দগ্ধ হয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, আগুনে পুরো বাসাটিই পুড়ে যায়। আশপাশের মানুষ ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠায়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার বলেন, “আমাদের ইনস্টিটিউটে মোট ৯ জন রোগী এসেছে। এর মধ্যে একজন হালকা আহত ছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অবস্থা গুরুতর।”
তিনি আরও বলেন, “দগ্ধ আটজনের শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে, তা নির্ণয়ের কাজ চলছে। বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
দুর্ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা বলছেন, গ্যাস লিকেজ নিয়ে বারবার অভিযোগ করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা মনে করছেন, কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্যাস লিকেজ ও বিস্ফোরণ থেকে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস পাইপলাইনে অনিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, পুরোনো অবকাঠামো এবং নিরাপত্তার অভাব এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।