close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ অতর্কিত হামলায় ২০ সেনা নিহত, আতঙ্কে পুরো অঞ্চল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন সেনা। হামলাটি ঘটে উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যের প্রত্যন্ত মালাম-ফাতোরি শহরের সেনা ঘাঁটিতে। স্থানী
নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন সেনা। হামলাটি ঘটে উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যের প্রত্যন্ত মালাম-ফাতোরি শহরের সেনা ঘাঁটিতে। স্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা ও বাসিন্দাদের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসআইএল-সম্পৃক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর দায় স্থানীয় সামরিক সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে আইএসডব্লিউএপি (ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রদেশ) এর সদস্যরা ভারী অস্ত্রসহ ট্রাকে করে এসে এই হামলা চালায়। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়। একজন বেঁচে যাওয়া সৈন্য জানান, "তারা আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছে। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেলও নিহত হয়েছেন।" বোকো হারাম এবং আইএসডব্লিউএপির দৌরাত্ম্য বোর্নো রাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই বোকো হারাম এবং আইএসডব্লিউএপির মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু। এই অঞ্চলগুলিতে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ উভয়ের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। গত এক দশকে এদের আক্রমণে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা: ১৩ জন নিহত এদিকে আফ্রিকার আরেক দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতেও সশস্ত্র সংঘর্ষে রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা হামলার শিকার হন। দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, নিহত ১৩ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে ৯ জন তাদের সেনা। সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীরা তাদের চৌকিতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। নিরাপত্তার অভাবে আফ্রিকায় বাড়ছে সন্ত্রাস আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তার অভাব এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সীমাবদ্ধতার কারণে এ ধরনের সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এ ধরনের হামলা শুধু স্থানীয় অঞ্চলকেই নয়, পুরো বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। নাইজেরিয়া এবং কঙ্গোতে এ ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, সন্ত্রাসবাদের হুমকি এখনও বড় আকারে বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
Комментариев нет