মুজিববাদ মুছে ফেলার আহ্বান জানালেন এনসিপি আহ্বায়ক : নাহিদ ইসলাম..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
হবিগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় মুজিববাদ মুছে ফেলার আহ্বান জানালেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।..

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "আমরা জুলাই আন্দোলন যে লক্ষ্যে শুরু করেছিলাম সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। সারাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের সতর্ক থেকে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।" 

তিনি আরও বলেন, "আমরা যেমন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলি, তেমনি মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। দেশ থেকে মুজিববাদ মুছে ফেলতে হবে।" হবিগঞ্জে সাইফুর রহমান টাউনহলে জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, "সম্প্রতি যৌথবাহিনী দ্বারা যুবদলের একজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা সেই হত্যার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি যারা চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি।" 

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনসিপি’র সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, সংগঠনের উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক ও হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী নাহিদ উদ্দিন তারেক, এবং হবিগঞ্জ যুগ্ম সমন্বয়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল। 

মেম্বার সচিব আক্তার হোসেন বলেন, "আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আওয়ামী দোসরদের বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান তৈরি করে জনগণের সংবিধানে রূপান্তরিত করতে হবে।" 

এর আগে বিকেল ৬টার দিকে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এনসিপি’র হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। 

এই পদযাত্রা ও পথসভা এনসিপি’র চলমান রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ। সংগঠনটি তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পদযাত্রা ও সভা আয়োজন করছে। 

নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে এনসিপি’র অবস্থান এবং তাদের কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করা হয়। বিশেষত, মুজিববাদ মুছে ফেলার আহ্বান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে এনসিপি তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে চাইছে। 

এনসিপি’র এই পদক্ষেপ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এই ধরনের বক্তব্য ও পদযাত্রা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও বৃদ্ধি করতে পারে। 

সমাজ-সাংস্কৃতিক প্রভাবের দিক থেকে, এই ধরনের রাজনৈতিক আন্দোলন দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এটি এনসিপি’র জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য। 

পরিশেষে, এই পদযাত্রা ও সভা এনসিপি’র জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি সাধারণ জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।

לא נמצאו הערות