মতলবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, আতংকে এলাকাবাসী
স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে বিভিন্ন অপরাধ। হত্যা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, কিশোর গ্যাংসহ নানান অপরাধ। ফলে আতংকে রয়েছে এলাকাবাসীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় হচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। অধিকাংশই রাতের বেলা বাসাবাড়ি এবং দোকানে লুট করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের টাকা-পয়সা ও মানুষের বসতঘরের মূল্যমান মালামাল।
উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব কলসভাঙ্গা গ্রামে ঘটে গেছে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
গত ২৪ জুন রাত মাওলানা বদিউজ্জামান বাহারের মাদ্রাসার সামনে অবস্থিত বিজিবি সদস্য মো. নাঈমের বসত ঘরে তালা ভেঙে এবং শাবল দিয়ে স্টিলের আলমারি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ঘরের মালামাল লুটে নেয় দূর্বতরা।
পৌরসভার বারোআনী গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন দেওয়ানের ৩টি গরু চুরি হয়েছে। তাদের ধাওয়া করতে গেলে ছুরি, চাপাতি ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে গরু নিয়ে পিকআপ ভ্যান দিয়ে চলে যায়।
সাহাবাজকান্দি গ্রামের অটো-চালক নুর হোসেন নামের এক লোকের অটোগাড়ি চার্জে লাগানো অবস্থা থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
গজরা ইউনিয়নের শাহাদাৎ হোসেনেরও একই অবস্থা।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে তার গাড়ীর ছবি দিলে ১৮দিন পরে শাহরাস্তি থেকে গাড়ী উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বাড়ী ভাঙা গ্রামের মোহন মিয়ার ঘরের আলমারি, সোকেসের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার চুরি করে নিয়ে যায়।
আমিনপুর গ্রামের সোহাগের অটো গাড়ীর ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায়।
গত ১মাসে এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত হাড়ে বাড়ছে কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম্য। অহরহ কোথায়ও না কোথাও সংঘটিত হচ্ছে কিশোর গ্যাংদের অপরাধমূলক ঘটনা।
স্থানীয় এলাবাসীরা রয়েছে আতংকে। তারা মনে করছে
পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে কঠোর না হওয়ায় দিন দিন অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় শ্রী-রায়েরচর ব্রীজ থেকে মতলব সেতু বেড়ীবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা মানুষকে দিন দিন আতঙ্কিত করছে।
মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, প্রায় রাতেই মেঘনা ধনাগোদা বেড়ীবাঁধের উপরে, সুজাতপুর হাইওয়ে রোড থেকে শুরু করে সাহেব বাজার ব্রিজ, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র থেকে ষাটনল এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ওই এলাকাটি অন্ধকার হওয়ার কারণে ছিনতাইকারীরা নিরাপদ পয়েন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির জানিয়েছেন, মতলব উত্তরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ টহল জোরদার করার পাশাপাশি চিহ্নিত চোর, ডাকাতদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
