close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত না করে নির্বাচনের দিকে হাঁটবেন না: নুরুল হক..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Without fundamental reforms, moving toward elections will be another betrayal of the people — warns Nurul Haque Nur.

নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত না হলে তা হবে জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা — বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

রাজনীতির বর্তমান উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে আবারও দৃঢ় অবস্থান নিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনের আগে যদি মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত না করা হয়, তবে সেটি হবে জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা। তার মতে, জনগণের ভোটাধিকার এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করার পূর্বশর্ত হলো—নির্বাচন ব্যবস্থা ও শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর গভীর সংস্কার।

শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব বক্তব্য দেন। লাখো মানুষের সমাগমে তিনি কণ্ঠে বলিষ্ঠতা নিয়ে উচ্চারণ করেন হুঁশিয়ারবার্তা।

নুর বলেন, “আপনারা যদি মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত না করেন, তাহলে সেই নির্বাচন আরেকটি ‘প্রতারণামূলক নির্বাচন’ হয়ে উঠবে। জনগণ এবার আর মেনে নেবে না। আমাদের দাবি একটাই—নির্বাচনের আগে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার জন্য সমান সুযোগ ছাড়া নির্বাচন মানে হবে একতরফা নাটক। তিনি মনে করিয়ে দেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা, সমাবেশ ও প্রচারণার পূর্ণ অধিকার দিতে হবে, যাতে তারা মুক্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারে। “আজকের এই সমাবেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্যাতিত মানুষগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তারা জানে—এই লড়াই দীর্ঘ কিন্তু অবশ্যম্ভাবী।

নুরুল হক আরও বলেন, “ইসলামী আন্দোলন যারা করেন তারা জানেন, আল্লাহ মানুষকে ধন, সম্পদ ও ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করেন, আবার তা কেড়ে নিয়েও দেখেন কারা সত্যিকারের ধৈর্যশীল। গত ১৬ বছর আমরা সেই ধৈর্যের পরীক্ষায় ছিলাম। এখন আল্লাহ আমাদের ‘রহমতের জুলাই’ উপহার দিয়েছেন। এই জুলাইয়ে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদকে রুখে দিয়েছে।

তিনি সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “এক সময় যারা নিপীড়িত ছিল, তারাই এখন ক্ষমতার দম্ভে অহংকারী হয়ে উঠছে। আমরা ইতিহাস থেকে শিখেছি—যদি সীমালঙ্ঘন করি, তাহলে আমাদের পরিণতিও শেখ হাসিনার মতো হতে পারে। আল্লাহ কাউকে ছাড় দেন না।”

নুর আরও বলেন, “এই যে পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা যদি টিকিয়ে রাখতে চাই, তাহলে আমাদের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনতেই হবে। ছাত্র জনতার আন্দোলন, আত্মত্যাগ আর সংগ্রামে অর্জিত বিজয় যদি টেকসই করতে চাই, তাহলে এখনই আমাদের নতুন বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে।

তিনি এ সময় অভ্যুত্থানের সময়কার সাহসী নারীদের সম্মানের সাথে স্মরণ করেন এবং বলেন, “সেই ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে আমাদের নারীরা পুলিশের চোখে চোখ রেখে বলেছিল—আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আজকের এই পরিবর্তনের পেছনে তাদের রক্ত ও সাহসও জড়িয়ে আছে।

নুরুল হক নুরের বক্তব্যের সারমর্ম ছিল — শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, চাই ব্যবস্থার রূপান্তর। আর সেটিই হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মূল চাবিকাঠি।

No comments found