close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

মৌলভীবাজারে ৫০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

Satyajit Das avatar   
Satyajit Das
মৌলভীবাজারে জেলা ডিবির অভিযানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই ফেসক্রিম ও ফেসওয়াশসহ দুই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রেফ্রিজারেটর ভ্যানে করে সিলেট সীমান্ত থেকে ঢাকায় পাচারের চেষ্টা চলছিল। আটককৃত..

সত্যজিৎ দাস:

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ অভিযানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই প্রসাধনী পণ্য জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে জড়িত দুই চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হল; সুনামগঞ্জ জেলার গোলাম কিবরিয়া ওরফে সুলতান (২০) এবং কক্সবাজার জেলার মো. মনির হোসাইন (৩৮)।

 

অভিযানটি পরিচালিত হয় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে,মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাধুহাটি এলাকায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরকারবাজার এলাকায় একটি রেফ্রিজারেটর ভ্যানকে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হলে চালক নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে সাধুহাটি এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়।

 

তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে মোট ১৬,১৬৪ পিস ভারতীয় ফেস ক্রিম এবং ১৯২ পিস ফেসওয়াশ জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত প্রসাধনীর বাজারমূল্য প্রায় ৪৯,৭৭,৩৩৬ টাকা। একইসঙ্গে পাচার কাজে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটর ভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।

 

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য জানান,“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে যে, তারা ভারতীয় সীমান্ত এলাকা,বিশেষ করে সিলেট অঞ্চল থেকে এসব চোরাই পণ্য সংগ্রহ করে ঢাকায় চালানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”

 

আটকদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, পাচার চক্রটি বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় ছিল এবং গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণের পর অভিযান চালানো হয়।

 

সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ভারতীয় পণ্যের অবৈধ প্রবেশ নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে চোরাচালানের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসাধনী পণ্যের মতো উচ্চমূল্যের ভোগ্যপণ্যের চোরাচালান এখন উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে,যা বৈধ বাজার ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি