close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মোংলায় শুরু হয়নি ডুবে যাওয়া জাহাজের উদ্ধারকাজ, জলবায়ু দূষনের আশঙ্কা..

ম.ম.রবি ডাকুয়া avatar   
ম.ম.রবি ডাকুয়া
মোংলা প্রতিনিধিঃ

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৯১৪ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘এমভি মিজান-১’ নামে কার্গো জাহাজটির উদ্ধারকাজ এখনও শুরু হয়নি।..

এমনকি ডুবন্ত জাহাজের ঘটনাস্থলে মার্কিং স্থাপনের কাজ এবং ওই জাহাজ থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল (ফ্লাইঅ্যাশ) অপসারণের কাজও শুরু করেনি মালিকপক্ষ । যে কারণে পশুর নদের জলজ প্রাণী এবং দুর্ঘনাস্থল-সংলগ্ন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা।

ওই নৌপথ দিয়ে অভ্যন্তরীণ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যদিও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, নৌ চ্যানেল স্বাভাবিক ও নিরাপদ রয়েছে। নৌযান চলাচলে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে জাহাজটির উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ ‘এমভি মিজান-১’-এর মাস্টার মো. বিল্লাল হোসেন শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় জানান, উদ্ধারকাজ করার জন্য তারা তৎপরতা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা এবং মোংলার দুটি ডুবুরি দলের সঙ্গে জাহাজ মালিক মো. কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে পক্ষের সঙ্গে চুক্তির সমঝোতা হবে তাদেরকেই উদ্ধারের কাজটি দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে দু-একদিনের মধ্যে উদ্ধারকাজের তৎপরতা শুরু হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় খুলনার দাকোপ থানায় শুক্রবার (২৭ জুন) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে পশুর চ্যানেলে সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে জাহাজডুবির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, জাহাজটিতে যে পদার্থ রয়েছে তাতে পশুর নদী ও সংলগ্ন জলজ প্রাণী এবং সুন্দরবনের পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।

পরিবেশবিদরা বলেন, ‘সিমেন্টের কাঁচামাল কয়লার বর্জ্য। এতে ক্ষতিকারক পারদ, মার্কারি ও শিশা রয়েছে। এসব ক্ষতিকারক পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে জলজ প্রাণী মারা পড়বে। এ ছাড়া সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হবে। তাই জীববৈচিত্র্য এবং জলজ প্রাণী রক্ষায় এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে দায়ীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই।’

উল্লেখ্য, মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে শুক্রবার (২৭ জুন) ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদের ত্রিমোহনাসংলগ্ন চরে সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে ‘এমভি মিজান-১’ নামে কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটি পশুর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় ‘এমভি কে আলম গুলশান-২’  নামক লাইটার কার্গো জাহাজ সেটির ওপরে উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়।

এতে ৯১৪ মেট্রিক টন সিমেন্টের কাঁচামাল (ফ্লাইঅ্যাশ) ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে এ ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ এবং স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান।

 

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator