‘সুন্দরবন ডেল্টা গ্রোথ ইনিশিয়েটিভ’র (এসডিজি) প্রতিনিধি দল এ নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের আউটার ড্রেজিসহ সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে এ সংস্থার প্রতিনিধি দল বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহিন রহমানের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেন। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষও সম্মত হয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সংস্থাটির সদস্য সচিব এম এ নাজির শাহিন, আরব ঠিকাদার ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোটিয়াম চেন বিন, শি জিন, কাওসার ও এচি ও জার্মান মিশরীয় বিনিয়োগ গ্রুপ।
সংস্থাটি মূলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন কোটি মানুষের আর্থিক ও জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করছে। ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি খাত নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া খুলনাসহ এ অঞ্চলের বন্ধ কলকারখানা পুনরায় চালু ও নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলে স্থানান্তরিতসহ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলারও উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
সুন্দরবন ডেল্টা গ্রোথ ইনিশিয়েটিভের (এসডিজি) সদস্য সচিব এম এ নাজির শাহিন বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মূলত মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর আগে ভারত যে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল সেটি বাতিল হয়েছে। সেই জায়গায় আমরা কাজ ও বিনিয়োগ করতে চাই। এ জন্য শিগগিরই জার্মানির একটি উচ্চ পদস্থ দল মোংলা বন্দর ভিজিটে আসবেন।
মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা গেলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনকে সহায়তা প্রদান সহজ হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনামের বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলনাঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হবে। যাতে ঘুরে দাঁড়াবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল।