স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত তামিম ও হোসাইন বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশু দুজনকে খুঁজে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুরের পানিতে তাদের ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন।
দ্রুত ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। এটি নিছক দুর্ঘটনা।”
বাংলাদেশে প্রায়ই গ্রামীণ অঞ্চলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের অবাধ চলাফেরা, পানির ধারে খেলাধুলা ও পরিবারের অসতর্কতা এর প্রধান কারণ। গ্রামে অধিকাংশ বাড়ির পাশেই পুকুর বা জলাশয় থাকায় শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দুই শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার রাতেই জানাজা শেষে তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়।