এরপর থেকেই তার চিকিৎসায় দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। অনেকেই দাবি করেন, এই অবহেলার কারণেই মৃত্যু হয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়ের।
ম্যারাডোনার মৃত্যু-সংক্রান্ত মামলার প্রথম দফার বিচার প্রায় আড়াই মাস চলার পর, গত মে মাসের শেষে সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ, তৎকালীন বিচারক জুলিটা ম্যাকিন্টাচ একইসঙ্গে বিচারপ্রক্রিয়া ও ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে একটি অননুমোদিত তথ্যচিত্র তৈরিতে যুক্ত ছিলেন। এই গুরুতর অনিয়মের কারণে তাকে বিচারকের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধেও আলাদাভাবে অভিশংসন প্রক্রিয়া চলছে।
এ অবস্থায়, নতুন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জার্মান প্রেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে স্যান ইসিদ্রোতে অবস্থিত সপ্তম ফৌজদারি আদালতকে নতুন করে মামলাটি পরিচালনার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এই বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বিচারক রবার্তো গাইগ, আলেজান্দ্রো লাগো এবং আলবার্তো ওর্তোলানি।
যদিও নতুন শুনানির তারিখ দ্রুত নির্ধারণ সম্ভব, তবে বাস্তবতার নিরিখে ২০২৬ সালের আগে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা কম। আদালতের ব্যস্ত সময়সূচি ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দেরি করানোর কৌশলকে এই বিলম্বের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে ম্যারাডোনার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং চিকিৎসকদের সম্ভাব্য গাফিলতির বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।