close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা! সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট..

Md Sale avatar   
Md Sale
মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা! সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট

গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলাশহরে ও বিভিন্ন ইউনিয়নে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দাপট। যত্রতত্র ..

মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা! সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট

গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলাশহরে ও বিভিন্ন ইউনিয়নে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দাপট। যত্রতত্র স্ট্যান্ড আর যাত্রী ওঠানামা করায় সড়কে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা। পৌরশহরের ওপর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং মাওনা- শ্রীপুর সড়কের অংশ যেন পুরোটাই পরিণত হয়েছে অটোস্ট্যান্ডে। অটোরিকশাগুলো বিশৃঙ্খলভাবে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা। 


এ বিষয়ে সাংবাদিক মুহসিন মিয়া শাহিন ও সাংবাদিক আবু সালেহ ওলামা টিভিকে বলেন, আয়তনে ছোট এই পৌরসভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অটোরিকশা প্রবেশ করে। এগুলো যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটে পৌরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। লাইসেন্সবিহীন চালকরা এসব রিকশা চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা না পাওয়ায় বাজারের কাছ থেকে অটোস্ট্যান্ড সরানো যাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা নেই বললেই চলে। 


শ্রীপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা থেকে এখন পর্যন্ত ২৯২টি অটোবাইক ও ১২৩টি ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে এ এলাকায়। হাতের নাগালে অটোরিকশার মূল্য এবং অবাধে চার্জ করার সুবিধা থাকায় যারা খেতে খামারে কাজ করতেন তারাও অনেকেই এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই অটোরিকশা চালাচ্ছেন। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্করাও কম পরিশ্রমে বেশি উপার্জনের আশায় হাত রাখছে অটোরিকশার স্টিয়ারিংয়ে। কোনো ধরনের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় চলাচল এবং অনভিজ্ঞ চালকদের কারণে ক্রমেই বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় অটোরিকশার ডান পাশ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও বেশির ভাগ অটোরিকশায় মানা হচ্ছে না এই নিয়ম। স্বল্প শ্রমে অধিক রোজগারের কারণে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অটোরিকশার দাপট।


অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া বলেন, একটা সময়ে পা দিয়ে প্যাডেল মেরে রিকশা চালিয়েছি। কিন্তু এখন চাহিদা বিবেচনা করে বাধ্য হয়েই অটোরিকশা কিনেছি। অটো চালিয়ে যে আয়-রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার ভালোভাবেই চলে যায়।

স্থানীয়দের দাবী হলো! অটোরিকশা বা ব্যাটারি চালিত রিকশা সক্রিয় গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধ হওয়ার আগে যেন এর লাগাম টেনে ধরা হয়, নয়তো যেভাবে এর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ছে তাতে বলা যায় অল্প কিছুদিন পরে তা নিয়ন্ত্রণ করা সকলের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে। তাই এখনই এর বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা পালনের অনুরোধ করছি।
মোঃ আবু সালেহ 
গাজীপুর শ্রীপুর

نظری یافت نشد