মেট্রোরেলের খোঁড়াখুঁড়ি, ইউটিলিটি লাইনের উঠানামা আর তার ওপর অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল—সব মিলিয়ে ঢাকার প্রগতি সরণি এখন যেন ‘নগর নির্যাতনের ল্যাবরেটরি’। আর এর মাঝেই আশা দেখাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তারা বলছে, 'ভয় নেই, করিডর আসছে!' প্রগতি সরণির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে, তাই আগেভাগেই চলছে ইউটিলিটি সরানোর মহাযজ্ঞ। এতে রাস্তার অর্ধেক চলে গেছে শ্রমিক আর বাঁশের দখলে, আর বাকি অর্ধেকের ওপর চলছে যুদ্ধাস্ত্রসদৃশ বাস-মিনিবাসের প্রতিযোগিতা। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগে ভাটা পড়বে না—বরং বাড়বে বলেই ধারণা। তবে ডিএনসিসির আশ্বাস—নতুন সড়ক মানেই নতুন স্বপ্ন! নগরবাসী যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাবছে কখন চলবে, তখনই ডিএনসিসির কর্তা মোহাম্মদ এজাজ বললেন, 'মেট্রোরেল কর্তাদের বলেছি, আগে ডাইভারশন রোড করেন, পরে খুঁড়েন। না হলে তো জনগণ রাস্তায় থাকবে না, থাকবে রগে!' এরপরই তিনি ঘোষণা দিলেন, হবে ৩-৪টা করিডর, যেন মানুষ যেন প্রগতি সরণি না ধরেই রামপুরা পৌঁছাতে পারে। প্রথম করিডরের রুট শুনলে বোঝা যাবে, এটি সোজা যাবে ৩০০ ফিট থেকে, ঘুরে বসুন্ধরা-মাদানী এভিনিউ হয়ে সানভ্যালি আবাসিকের গা ঘেঁষে আফতাবনগর হয়ে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত। মানে, একটা আধুনিক গোলকধাঁধা—যেখানে ঢুকে কেউ কেউ রামপুরা পৌঁছাবে, কেউ আবার সোজা বারিধারায়। ডিএনসিসি আরও জানাল, অর্থ দেবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নগরবাসী ভাবছে, 'ভালো কথা, এখন শুধু প্রজেক্ট না হয়ে যেন প্রগ্রেসও হয়!' আরও করিডরের পরিকল্পনাও আছে—৩০০ ফিটের এক্সপ্রেসওয়ের আগে-পরে আরও কিছু করিডর, যেন প্রগতি সরণির চাপ কমে। তবে নাগরিকদের একটাই অনুরোধ, 'করিডর হোক, করিডরে না গিয়ে যেন গর্তে না পড়ি!' সবশেষে, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বার্তা স্পষ্ট—‘ভোগান্তি হোক কিছুদিনের, কিন্তু স্লোগান হোক স্বপ্নময়: যানজট নয়, করিডরই ঢাকার ভবিষ্যৎ!'
close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
Inga kommentarer hittades



















