মেধাবী শিক্ষার্থী রত্নার লেখা পড়ার দায়িত্ব নিলেন সাতক্ষীরার ছাত্রদল নেতা শাহিন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
দারিদ্র্য, মায়ের অসুস্থতা আর অদম্য ইছাশক্তির মাঝেও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলন সাতক্ষীরার মেধাবী ছাত্রী রত্না খাতুন। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা: 

দারিদ্র্য, মায়ের অসুস্থতা আর অদম্য ইছাশক্তির মাঝেও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলন সাতক্ষীরার মেধাবী ছাত্রী রত্না খাতুন। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ শাহিন ইসলাম।

ছাত্রদলের এই নেতা বুধবার (২৯ অক্টোবর '২৫) সকালে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে গিয়ে রত্নাকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেন। এ সময় তিনি ভর্তি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করে দেন।
এই মানবিক উদ্যোগের সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দিবা-নৈশ কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব তামিম রশিদ, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহায়ক মহিউদ্দিন কোরাইশ, সদর থানা ছাত্রদলের আহায়ক সদস্য সাইফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা সোহান, সরকারি মহিলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী মিম সুলতানা প্রমুখ।

রত্না এসময় জানান, ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিলাম না। আজ ভর্তি হতে পেরে আমি অনেক খুশি। যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। 

ছাত্রদল নেতা শাহিন ইসলাম জানান, অর্থাভাবে কোন মেধাবী শিক্ষার্থী যেন উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সমাজের বিত্তবানদেরও উচিত এমন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো।

উল্লেখ্য, রত্না সাতক্ষীরা দ্যাপোল স্টার পর হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ছফুরেনেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু অর্থাভাবে ভর্তি হত না পারায় শিক্ষাজীবনে ঝুঁকির মুখে পড়ে।
রত্নার মা রহিমা বেগম কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত। এই রোগে তাঁর হাতের দশটি ও পায়ের তিনটি আঙুল নষ্ট হয়ে গেছে। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি হাঁস-মুরগি পালন ও মানুষের সহায়তায় কোনমতে সংসার চালান। স্বামী বহু আগেই পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন।

کوئی تبصرہ نہیں ملا


News Card Generator