বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের কথায় আলোচিত: মেধা, সততা ও নেতৃত্বের প্রতিফলনে গড়বে সবার বাংলাদেশ। ডাকসু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাঁর পোস্ট ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেন। পোস্টে তিনি বলেছেন, “মেধা ও সততায় গড়ব সবার বাংলাদেশ।” এই উক্তিটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান।
মোহাম্মদ আলী নামের একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন, “এই উক্তির সঙ্গে আমি একমত। যদি এটি বাস্তবায়ন করা যায়, আগামী ৫০ বছরে আমরা বিশ্বের সব দিক থেকে শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিচিত হব।” অন্যদিকে, ফারিহা শফি নামের একজন নারী শিক্ষার্থী লিখেছেন, “কি বিচক্ষণ! কি ট্যালেন্ট! কি মিডিয়া ফেস! যেখানে বড় বড় নেতারা সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যায়, সেখানে আমাদের ঢাবি শিবির সভাপতি প্রশ্নের জবাবে ধন্যবাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের একজন নেতার প্রয়োজন ছিল অনেকদিন।”
শিবিরের অন্যান্য সমর্থকও তাদের কৃতজ্ঞতা এবং উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। কবি মাসুম হাসান লিখেছেন, “উহারা প্রচার করবে হিংসা, বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ; আমরা বলব সাম্য, শান্তি, এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।” সাইফুল্লাহ আল আজাদ মন্তব্য করেছেন, “জানবে.. জাগবে.. জাগিয়ে তুলবে।”
ডাকসু নির্বাচনের প্রাক্কালে শিবিরের পদক্ষেপ এবং কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল শিবির ডাকসু নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করবে। শিবির আশা করছে, ডাকসু নির্বাচন থেকেই ফিনিক্সের মতো পুনর্জাগরণ ঘটবে। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিবিরের মূল কেন্দ্র ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অবস্থিত।
নির্বাচনের দিন শহীদ আব্দুল মালেকের রুহানি আত্মা ঢাবির সবুজ চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকবে, বিজয়ী পতাকা হাতে। চারিদিকে মুষ্টিবদ্ধ হাতগুলো ঊর্ধ্বে তুলে ধ্বনিত হবে নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার।
নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সেরা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে দাওয়াতি কাজের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হবে। শিবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ, সততা, নেতৃত্বের উদাহরণ এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ জাগাবে। শিবিরের ইতিহাস ও সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরবে, যা তাদের জাগ্রত, সক্রিয় ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
হুসাইন ফারাবি নামের একজন লিখেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক সাদিক কায়েমকে মনোনয়ন দিয়েছে।” এটি শিবিরের জন্য নতুন শক্তি এবং উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করবে।
ইনশাআল্লাহ, নতুন প্রজন্মের কেতনধারী ইসলামি ছাত্রশিবির শিক্ষার্থী সমাজে সততা, দক্ষতা ও ন্যায়পরায়ণতার মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেবে। সকল শিক্ষার্থীকে এই আন্দোলনে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশা করছে, শিবিরের এই উদ্যোগ নতুন নেতৃত্বের ধারার সূচনা করবে এবং বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
শিবিরের লক্ষ্য পরিস্কার: মেধা ও সততায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ করা এবং সমাজে শান্তি, সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। শিক্ষার্থীরা জাগবে, তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও উদ্যম বৃদ্ধি পাবে, এবং দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা আরও দৃঢ় হবে।