মানিকগঞ্জে কোরবানির গরু কিনলে সঙ্গে ছাগল ফ্রি

A S M Shaifullah avatar   
A S M Shaifullah
****
এ এস এম সাইফুল্লাহ, মানিকগঞ্জ : 
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের পালড়া এলাকার ‘সম্রাট’ জেলার সবচেয়ে বড় গরু দাবি করেছেন খামারের মালিক সিরাজুল ইসলাম বেপারী। এক টন ওজনের গরু ‘সম্রাট’-এর দাম হাঁকা হচ্ছে দশ লক্ষ টাকা। ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে ব্যক্তি গরুটি দশ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করবেন, তাকে দুটি ছাগল ফ্রি দেওয়া হবে, যার বাজার মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা
মানিকগঞ্জের মেসার্স মক্কা আল-আরাফাত ডেইরী ফার্মে গাভী ও ষাঁড় পালন হয়ে থাকে।
 
প্রতিদিন এই ফার্ম থেকে দেড়-দুই মন দুধ বিক্রি হয়। তবে প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এক-দুটি বড় আকারের ষাঁড় পালন করা হয় এই ফার্মে।
 
ফার্মের মালিক সিরাজুল ইসলাম বেপারীর জীবনে এতো বড় ষাঁড় এটিই প্রথম বলে তিনি জানান। প্রতিবছর ফার্ম থেকেই গরু বিক্রি করা হয়ে থাকে, কখনো হাটে নেওয়া লাগেনি।
 
দেশের বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা এসে দরদাম করে নিয়ে যায়। এবারো খামার থেকেই গরুটি বিক্রি করা হবে।
 
নাম ‘সম্রাট’ হলেও চলনে বলনে শান্ত স্বভাবের বলে জানান শ্রমিকরা। প্রতিদিন ‘সম্রাট’-কে তিনবার গোসল করানো হয়।
 
দেশীয় কুড়া, ভুসি, কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয়, কোনো ধরনের হাইব্রিড খাবার দেওয়া হয় না।
 
খামারের শ্রমিকরা বলেন, খুব ভোরবেলা উঠে গরুর জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এর পর নিয়ম মেনে খাবার দেওয়া, গোসল করানো হয়ে থাকে।
 
খামারের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকেই গরু পালন হয়ে আসছে। বাপ-দাদা না থাকলেও আমরা পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছি।
 
আমাদের মূল পেশা হচ্ছে গাভী পালন। প্রতিদিন গাভী থেকে দেড়-দুই মন দুধ বিক্রি হয়। তবে প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ষাঁড় পালন করা হয়। এবারের ষাঁড় ‘সম্রাট’ জেলার সবচেয়ে বড়, ওজন এক টনের উপরে। দশ লক্ষ টাকা বিক্রি হলে দুটি ছাগল ফ্রি দেওয়া হবে।
 
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, সম্ভবত এটি জেলার সবচেয়ে বড় গরু। ওজন এক টনের কম-বেশি হতে পারে। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটি পালন করা হয়েছে। সর্বদাই আমাদের পরামর্শ মতো ষাঁড়টিকে পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া খামারে ভাল মানের গাভীও পালন করা হয়।
Không có bình luận nào được tìm thấy