জীবনের কঠিন সময়ে একজন ভালো চিকিৎসক যেন আলোর দিশারী হয়ে ওঠেন। তেমনই এক অভিজ্ঞতা আমার হলো ইউনাইটেড হাসপাতালে, যেখানে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির আমার হৃদপিণ্ডের ভাল্ব অপারেশন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির শুধু একজন দক্ষ সার্জনই নন, তিনি একজন মানবিক ও আন্তরিক মানুষ। তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি বড় ধরনের হৃদরোগের অপারেশন সম্পন্ন হয়—যার মধ্যে রয়েছে জটিল বাইপাস সার্জারি, ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট ইত্যাদি। এত কাজের মাঝেও প্রতিটি রোগীর প্রতি তাঁর যত্ন ও মনোযোগ অবিশ্বাস্য।
এই চিকিৎসকের সাফল্যের পেছনে রয়েছে একটি অসাধারণ টিম। বিশেষভাবে ডা. আরিফ এর কথা না বললেই নয়—তিনি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ও সজাগ। অপারেশন-পরবর্তী সময়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ ও সাপোর্ট আমাকে মানসিকভাবে সাহস যুগিয়েছে।
হাসপাতালের নার্সরা ছিলেন অতুলনীয়। প্রতিটি মুহূর্তে তারা আমার পাশে থেকেছেন, কখনও মায়ের মমতায়, কখনও বন্ধুর সহানুভূতিতে।
ডায়েটিশিয়ান দিদি—যিনি আমার খাবারের নিয়ম ঠিক করে দিতেন—তাঁর আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রতিটি খাবারই ছিল স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্মত। রোগী হিসেবে এমন যত্ন ও খেয়াল সত্যিই প্রশংসনীয়।
সবচেয়ে বড় কথা, হাসপাতালের ডিসিপ্লিন চমৎকার। সবকিছু ছিল সুসংগঠিত, পরিচ্ছন্ন এবং সময়ানুগ। চিকিৎসাসেবা শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা—এই হাসপাতালে সেটা আমি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি।
আল্লাহর রহমতে আজ আমি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছি। এই কঠিন যাত্রায় যারা আমাকে সাহস ও সেবা দিয়েছেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমার হৃদয়ের গভীর কৃতজ্ঞতা।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাঁর টিম—আপনারা আমাদের সমাজের গর্ব।



















