নিহতরা হলেন মো. সাবের হাসান (৩০), মো. জাহিদ হাসান (২১) এবং আবদুল্লাহ (২৪)। দুর্ঘটনার পরপরই তাদের ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহতরা হলেন- মো. হাবিব বিশ্বাস (৪৫) এবং মণীরাম চন্দ্র বাস (৪০)। তাদেরকে কুয়ান্তানের তেংকু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি ছিল একটি টয়োটা আভানজা, যা কুয়ান্তান থেকে কুয়ালালামপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বাঁদিকে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন দুজন।
কুয়ান্তানের ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মো. আদলি মাত দাউদ জানান, গাড়ির চালক মো. সাবের হাসানের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া, গত মে মাসেই গাড়িটির রোড ট্যাক্স মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় মালয়েশিয়ার ১৯৮৭ সালের সড়ক পরিবহন আইন ৪১(১) ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তারা এবং নিহত ও আহতদের কর্মস্থল বা নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে, পুসপাকমের মাধ্যমে গাড়িটির যান্ত্রিক অবস্থা যাচাই করা হবে।
দুর্ঘটনাটি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে কর্মরত প্রায় ৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকারের পাশাপাশি দূতাবাসকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
সূত্র: বারনামা, আলজাজিরা মালয়, দ্য স্টার