সকাল ৯টার দিকে ড. ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাযায়ায় পৌঁছান। পারদানা পুত্রা ভবনে আনুষ্ঠানিক স্বাগত অনুষ্ঠানে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম। এসময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। স্বাগত পর্বে মালয়েশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পরিচয় করিয়ে দেন আনোয়ার ইব্রাহীম। পরে ড. ইউনূস ভিজিটরস বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
সকাল ১০টায় শুরু হয় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ড. ইউনূস ও আনোয়ার ইব্রাহীম যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।
সফরের অংশ হিসেবে ড. ইউনূস আজ মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে একটি ব্যবসায়িক সেশনে যোগ দেবেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়ও অংশ নেবেন তিনি। যেখানে শ্রমবাজার, প্রবাসী কল্যাণ এবং বিনিয়োগ সুযোগ নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এই তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগ।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও মানবসম্পদ বিনিময়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। তারা আরও বলছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।