close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে, আইন উপদেষ্টা জানালেন সরাসরি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
After the fatal plane crash at Milestone College, the government has accepted all 6 demands raised by students, confirmed Legal Adviser Asif Nazrul.

মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির পর শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিকে সরকার যৌক্তিক মেনে নিয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শনের সময় তিনি গণমাধ্যমের সামনে বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি ন্যায্য এবং যৌক্তিক। সরকার তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সব দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে কলেজের ৫ নম্বর ভবনের সামনে আইন উপদেষ্টা বক্তব্য দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে রাখেন। তাদের উত্থাপিত ৬ দফা দাবি সম্পর্কে সরকার ইতিবাচক অবস্থানে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এই দুঃখজনক ঘটনার পর সরকার শুধু তদন্তই করছে না, বরং শিক্ষার্থীদের আবেগ ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।”

আইন উপদেষ্টা আরও জানান, ছাত্রদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব আচরণ হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকারের পক্ষ থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তার ভাষায়, “শিক্ষার্থীদের সম্মানহানিকর কোনো আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।”

উল্লেখ্য, এর আগে সকাল ১০টা থেকেই মাইলস্টোন কলেজের সামনে গোলচত্বরে জড়ো হতে শুরু করে শত শত শিক্ষার্থী। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। কলেজ চত্বরে উপস্থিত হন শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা সি আর আবরার ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘বিচার চাই’, ‘জবাবদিহি চাই’, ‘বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে উপদেষ্টাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত ৬ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ

  2. আহতদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ

  3. শিক্ষকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা

  4. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ

  5. ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল

  6. পুরো প্রশিক্ষণ পদ্ধতির সংস্কার

এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ব্যাপক সমর্থন দেখা গেছে। অনেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনার দিন কলেজের অভ্যন্তরে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপদেষ্টারা উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের আশ্বাস পেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এই ঘটনায় সরকারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং উপদেষ্টাদের সরাসরি উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফিরিয়ে এনেছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এ ঘটনায় প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে এখনো শিক্ষার্থীরা সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

Ingen kommentarer fundet