close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মায়ের দুধের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির উপায়

Bahar ullah avatar   
Bahar ullah
নতুন মায়েদের জন্য মায়ের দুধের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির পরামর্শ।

শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য মায়ের দুধ অপরিহার্য। জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মায়ের দুধের পরিমাণ এবং গুণগত মান কিভাবে উন্নত করা যায়, তা কি আমরা জানি?

মায়ের দুধের পর্যাপ্ততা মায়ের শরীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পরিবারের সহযোগিতাও এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন মায়েদের অনেক ধরনের মানসিক ও শারীরিক চাপ থাকে, যা দুধের পরিমাণে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিবারের সব সদস্যকে মায়ের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় সহযোগিতা করতে হবে।

মায়ের খাদ্যাভ্যাসও দুধের গুণগত মানে প্রভাব ফেলে। মাকে দিনে ছয়-সাতবার খাবার খেতে হবে। ভারী খাবারের পাশাপাশি হালকা নাশতা ও পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়া উচিত। সুপ, ডাবের পানি, ফলের রস বা আস্ত ফল খাওয়াতে পারেন। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে দুধ ও দুধজাত খাবার যেমন- দই, পায়েস, পুডিং বা পনির খাওয়া জরুরি। যাদের ল্যাকটোজ সহ্য হয় না, তারা গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ও ছোটমাছ খেতে পারেন।

মায়ের খাদ্য তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার থাকা উচিত। দিনে অন্তত একটি ডিম রাখা যেতে পারে। কর্মজীবী মায়েরা দুধ এক্সপ্রেস করে সংরক্ষণ করতে পারেন। দুধের পরিমাণ বাড়াতে কাঠবাদাম, কালিজিরা, লাউ, পালং শাক, মেথি ও ওটস খাওয়া যেতে পারে।

একটি উদাহরণস্বরূপ খাদ্য তালিকা হতে পারে:

সকাল: দুটো রুটি, এক কাপ সবজি, একটা ডিম সেদ্ধ।

মধ্য সকাল: একটি কলা, পাঁচ-সাতটা কাঠ বাদাম, এক কাপ দুধ।

দুপুর: দুই কাপ ভাত, এক কাপ ডাল, দুই পিস মাছ/মুরগির মাংস, এক কাপ মিক্সড সবজি, কালিজিরার ভর্তা, সালাদ।

বিকাল: ওটস আর বাদামের লাড্ডু, ফল।

রাত: রুটি দুইটা বা এক কাপ ভাত, ডাল এক কাপ, লাউ তরকারি, মাছ/মুরগির মাংস দুই পিস ও লেবু।

রাতের নাশতা: এক কাপ দই, একটি খেজুর।

শোবার আগে: এক কাপ দুধ, দুই পিস প্লেইন টোস্ট।

সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করতে হবে। পরিবারের সদস্যদের উচিত মাকে মানসিক শান্তি ও শারীরিক স্বস্তি প্রদান করা। মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি শিশুর সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

লেখক: প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটাল, চট্টগ্রাম।

कोई टिप्पणी नहीं मिली