close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মাদক নির্ভরশীলতার চিকিৎসায় পারিবারিক শিক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনে পারিবারিক মনো-সামাজিক শিক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আয়োজনে রাজধানীর শ্যামলীতে এক বিশেষ আলোচনা সভায় চিকিৎসক, মনোবিদ এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা মাদক নির্ভরশীলতার চিকিৎসায় পারিবারিক মনো-সামাজিক শিক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রাহানুল ইসলাম সভায় বলেন, 'মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে মনো-সামাজিক শিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক এবং পরিবার ও সমাজের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে পুনরায় মাদক সেবন রোধে ভূমিকা পালন করে।' 

এই আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, 'পারিবারিক সমর্থন এবং মনো-সামাজিক শিক্ষণ মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু মাদক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দেয় না, বরং ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনে।' 

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে মাদকে আসক্ত নারীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রটি প্রতিনিয়ত মাদক নির্ভরশীল নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্যোগে পরিবারগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ মাদক নির্ভরশীলতার চিকিৎসায় অধিক ফলপ্রসূ হতে পারে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন। 

উল্লেখ্য, মাদক নির্ভরশীলতার চিকিৎসায় পারিবারিক সহায়তার গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবারের সক্রিয় সহযোগিতা ও মনো-সামাজিক শিক্ষণ মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য নিশ্চিত করতে পারে। এর ফলে সমাজে মাদকমুক্ত একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়। 

সভায় উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে শুধুমাত্র চিকিৎসা নয়, বরং সামাজিক ও পারিবারিক পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এর মাধ্যমে একটি সুস্থ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।

Комментариев нет