বুধবার ( ২০ আগস্ট) বিকালে জামালপুর জেলায় একটি রেস্টুরেন্ট এর সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন-‘গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিওটি দেখেন। অডিওটি গত রমজান মাসের পৌর বিএনপির ইফতার মাহফিলের প্রস্তুতি সভার আলোচনা সভায় রেকর্ড করা হয়। ওই আলোচনা সভায় ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল গফুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক রাকিব লিটন, সাবেক সভাপতি হাবলুল গাজী বেলাল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ হাসান অভিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন-‘আমরা পারিবারিক , সামাজিক রাজনৈতিক গল্প গুজব করছিলাম। সে সময় আমাকে বলা হয় তোমার তো অনেক টাকা আছে তুমি তালুকদার মানুষ তুমি টাকা বেশি দিবা এবং কিছু কিছু লোক বলে আমাকে, তুমি তো অনেক টাকা কামাই করো যা আমার ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সে ক্ষোভ সামলাতে না পেরে ওরা যে ভাষায় কথা বলেছে আমি ইয়ার্কি ছলে তাদেরকে প্রশ্নের অতিরঞ্জিত উত্তর দিয়েছি এবং সেটা হেঁসে খেলে দিয়েছি। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার বাস্তব জীবনে বা চলা ফেরায় কেউ বলতে পারবে না আমি চাঁদাবাজি করেছি। সে সময় তাদের সাথে খুশ গল্পে কিছু কথা বলি, যা বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না। স্বার্থন্বেষী মহল আমার অগোচরে কথোপকথনটি রেকর্ড করে ছড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি দাবি করেন- এই ঘটনার মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত ইমেজ ও পারিবারিক ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেলের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। তিনি পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আশরাফুর রহমানের ভগ্নিপতি।