close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদ

Md Nayem avatar   
Md Nayem
কপিরাইট- দৈনিক ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে সম্প্রতি লন্ডনে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতে জনসম্মুখে দেখা গেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দীর্ঘদিন লুকিয়ে ছিলেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার (৩০ মার্চ) সকালে তিনি লন্ডনের গ্যাংসহিল এলাকায় অবস্থিত আল-কালাম মসজিদে ঈদের নাম

হাছান মাহমুদের অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল ৫ আগস্টের পর। অনেকের ধারণা ছিল যে তিনি বাংলাদেশে নেই এবং সম্ভবত বিদেশে অবস্থান করছেন। এই গুঞ্জনের মধ্যেই তিনি হঠাৎ লন্ডনে আবির্ভূত হলেন। ঈদের নামাজ শেষে তিনি মসজিদের বাইরে পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এই মুহূর্তের কয়েকটি ছবি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দুটি ছবি বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। প্রথম ছবিতে দেখা গেছে, হাছান মাহমুদ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে উষ্ণভাবে কোলাকুলি করছেন। দ্বিতীয় ছবিতে হাছান মাহমুদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, তার ছেলে এবং আইটিভির সাংবাদিক মাহাথির পাশা। 

একই ছবিতে হাসিমুখে দাঁড়ানো আরও দুজন কিশোরকে দেখা গেছে। ওই দুই কিশোরের পরিচয় নিয়ে সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, ‘ছবিতে হাছান মাহমুদের ডান পাশে দাঁড়ানো দুজনের মধ্যে একজন খুব সম্ভবত তার ছেলে এবং অপরজন তার ভাতিজা। তবে এটি আমার অনুমান, নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না।’ 

 হাছান মাহমুদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, তার ছেলে এবং আইটিভির সাংবাদিক মাহাথির পাশা।

হাছান মাহমুদের বর্তমান বসবাস সম্পর্কে সৈয়দ আনাস পাশা জানান, ‘তিনি বর্তমানে বেলজিয়ামে থাকেন। তবে তার ছেলে লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। ঈদের এই বিশেষ দিনে ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং উৎসব উদযাপন করতে তিনি লন্ডনে এসেছেন।’ 

সৈয়দ আনাস পাশা বলেন, ‘যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক সম্পর্কে আমার চাচা এবং লন্ডনে আমরা একই এলাকায় বাস করি। নামাজ শেষে তিনি হাছান মাহমুদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন।’

এই ঘটনা সম্পর্কে আরও জানতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

কপিরাইট- দৈনিক ইত্তেফাক।
Ingen kommentarer fundet