নাঈম হাসানের ফ্লাইটেড বলে সুইচহিট করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সমন্বয় হারিয়ে ফেলেন চান্দিমাল। উইকেটের পেছনে উঠে যাওয়া বলটি পেছনে দৌড়ে তালুবন্দি করেন লিটন দাস। চান্দিমাল থামেন ৯৩ রানে—টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই প্রথমবার ‘নাইন্টিজে’ থেমে যাওয়ার হতাশা তার।
এই ক্যাচেই গড়েছেন বড় মাইলফলকের রেকর্ড লিটন দাস। টেস্টে এখন বাংলাদেশি উইকেটকিপারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক তিনিই। মুশফিকুর রহিমের ১১৩ ডিসমিসালকে ছাড়িয়ে ৫০ টেস্টে ৬৫ ইনিংসে তার শিকার ১১৪টি (৯৯ ক্যাচ, ১৫ স্টাম্পিং)। মুশফিক এই সংখ্যায় পৌঁছেছিলেন ৯৯ ইনিংসে। একশ ছাড়ানো ডিসমিসাল আছে বাংলাদেশের আর কারও নেই। ৮৭ ডিসমিসাল নিয়ে তালিকায় তৃতীয় খালেদ মাসুদ পাইলট।
বিশ্ব টেস্ট ইতিহাসে লিটনের সামনে এখন আরও উঁচু পর্বত। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি মার্ক বাউচার ৫৫৫ ডিসমিসাল নিয়ে শীর্ষে। তার পরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৪১৬ ডিসমিসাল)।
তবে লিটনের এই রেকর্ডের দিনে খুব একটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে শুরুতেই ব্যর্থতা—মাত্র ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় শান্তরা। দ্বিতীয় দিনজুড়ে শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা বাংলাদেশি বোলারদের ছড়িয়েছেন মাঠজুড়ে। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে তারা তুলে ফেলেছে ২৯০ রান—লিড দাঁড়িয়েছে ৪৩ রানে, হাতে এখনও ৮ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৪৭ রানের জবাবে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই স্বাগতিকরা বিনা উইকেটে তুলে ফেলে ৮৩ রান। এরপর উদারাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু ততক্ষণে মূল আঘাত হানার অপেক্ষা নিচ্ছে লঙ্কান ব্যাটিং। নিশাঙ্কা ও চান্দিমাল গড়েন ১৯৪ রানের দুর্দান্ত জুটি। প্রথম ম্যাচে ১৮৭ রান করা নিশাঙ্কা এই ম্যাচেও দুর্দান্ত ফর্মে—২৩৮ বলে ১৪৬ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন তিনি। নাঈমের ঘূর্ণিতে চান্দিমাল কাটা পড়লেও লঙ্কানদের দাপট থেমে নেই। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নেমে ৫ রানে অপরাজিত আছেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া।