close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

লিভার ও ক্যানসারে আক্রান্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি লিভার ও ক্যানসারে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম। সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর আদালতে শুনানির সময় তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।..

শুনানিতে খায়রুল ইসলাম আদালতকে জানান, মামলার ঘটনার সঙ্গে আফ্রিদির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তার দাবি, বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী ভিকটিম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশের নির্বিচার গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আফ্রিদির কোনো ভূমিকা নেই।

তিনি আরও বলেন, বাদী নিজেই শপথনামার (এফিডেভিট) মাধ্যমে জানিয়েছেন, তথ্যগত ভুলের কারণে আফ্রিদির নাম মামলায় যোগ হয়েছে। ফলে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।

আইনজীবী আফ্রিদির স্বাস্থ্যগত অবস্থার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান, আফ্রিদি লিভার ও ক্যানসার ছাড়াও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন।  পাশাপাশি, তার স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী। এসব কারণে মানবিক বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করার আহ্বান জানান তিনি।

অন্যদিকে বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন এবং ঢাকা বারের সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল আফ্রিদির রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন।

তাদের দাবি, আফ্রিদি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালাতে উৎসাহিত করেছেন। তার লাইভ কার্যক্রমের মাধ্যমে সহিংসতার উস্কানি মিলেছে। তারা বলেন, রিমান্ডে নিলে জানা যাবে কারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত, কারা নির্দেশনা দিয়েছে এবং কারা অর্থ ও অস্ত্রের যোগান দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ আফ্রিদির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মনোযোগ সহকারে সব বক্তব্য শুনতে দেখা যায় তাকে।

এসময় আসামিপক্ষ দাবি করে, আফ্রিদি শুধু আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, কোনো রাজনৈতিক পরিচয় তার নেই। তারা আফ্রিদির বাবার (ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন সাথী) খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটি ছবিও আদালতে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন। পাশাপাশি, আফ্রিদিকে আনা-নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে আফ্রিদিকে পেটে হাত দিয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। ভিড়ের মধ্যে তার জুতা হারিয়ে ফেলেন তিনি।
এই দৃশ্য অনেককে মনে করিয়ে দেয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের সেই ঘটনার কথা, যখন গত ১৩ মে আদালত এলাকায় হুড়োহুড়ির মধ্যে তিনি নিজের জুতা হারান। পরে সেই জুতা দেখা যায় এক ভিক্ষুকের পায়ে।

গত রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে, ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথীকে। পরদিন আদালত তারও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

No comments found