close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

লালমনিরহাটে সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

Akm Kaysarul Alam avatar   
Akm Kaysarul Alam
এ কে এম কায়সারুল আলম, লালমনিরহাট করেসপন্ডেন্টঃ

লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য ও স্থানীয় 'সাপ্তাহিক আলোর মনি'-পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. হেলাল হোসেন কবিরকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও তার মা আহত হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকরাগাছ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, হামলার ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই সোহরাব আলী (৫০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সোহরাব আলী একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪-৫ মাস আগে আব্দুল আজিজ নামে একজনকে জুয়া খেলার জন্য পুলিশ আটক করে। এতে হেলাল কবিরকে তাদের সন্দেহ হয়। এজন্য বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ কারণে সদর থানায় একটি জিডিও করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

শনিবার সন্ধ্যার পর সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হলে ১২-১৫ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা তাকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে এক পর্যায়ে ধারালো ছোরা দিয়ে তার গলায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। তার মা ছামছুন্নাহার বেগম লুসি তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় আহত সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির ও তার মাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. হেলাল হোসেন কবির বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন, যেখানে ১১ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুন্নবী জানান, এজাহার প্রাপ্তির পর দ্রুত তদন্ত শুরু করেছি। প্রধান আসামি মো. সোহরাব আলীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Aucun commentaire trouvé