close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

লালবাগ কেল্লায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ'র জন্মবার্ষিকী উদযাপিত..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে লালবাগ কেল্লায় উদযাপিত হলো ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ'র ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী।..

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর - উপমহাদেশীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কিংবদন্তি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ'র ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা শহরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লালবাগ কেল্লায় এক সুরের মূর্ছনায় ভরা সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। 

সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এই অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এরপর একে একে মঞ্চে আসেন বিশিষ্ট অতিথিরা, যার মধ্যে ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

অনুষ্ঠানের মূল অংশ শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে, যেখানে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ'র জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এরপর শুরু হয় সঙ্গীত পরিবেশনা, যেখানে প্রথমে খেয়াল (রাগ ভীমপলশ্রী) শোনান পণ্ডিত অসিত দে। এই পরিবেশনার পর নবীন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। বিশেষ করে, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ'র প্রপৌত্র সিরাজ আলী খান তাঁর অসাধারণ সরোদ পরিবেশনা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে রাগ কিরওয়ানি পরিবেশন করেন বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে ছিলেন অভিজিৎ কুন্ডু (কণ্ঠ-ধ্রুপদ), প্রশান্ত ভৌমিক (তবলা), ফাহমিদা নাজনীন (তবলা), শুক্লা হালদার (এস্রাজ), নিলয় হালদার (সারেঙ্গি), ইসরা ফুলঝুরি খান (সরোদ), ইলহাম ফুলঝুরি খান (সরোদ), সোহিনী মজুমদার (সেতার) এবং মোহাম্মদ কাওছার (সেতার)। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জাপান, ইতালি, চায়না, পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন, বতসোয়ানা এবং ইউনেস্কোর দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাব।

অনুষ্ঠানে আফসানা খান ও রুখসানা খানের যুগলবন্দি সেতার ও সরোদ পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ'কে নিয়ে একটি কথোপকথন সঞ্চালন করেন নাসির আলী মামুন। পরবর্তীতে সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় সিরাজ আলী খানকে। 

সবশেষে, সরোদ শাস্ত্রীয় সংগীতের অসাধারণ পরিবেশনা দিয়ে দর্শকদের বিমোহিত করেন সিরাজ আলী খান, সহযোগী শিল্পী হিসেবে ছিলেন কল্লোল ঘোষ ও আর্চিক ব্যানার্জী (তবলা)। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আফজাল হোসেন এবং মারিয়া ফারিহ্ উপমা। 

এই অনুষ্ঠানটি শুধু সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে স্মরণ করার একটি উপযুক্ত মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে এমন আরো আয়োজনের জন্য দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator