কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় কুতুবদিয়া এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রিদুয়ানুজ্জামান হেলালীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন কৈয়ারবিল মতির বাপের পাড়ার নুরুল হুদার ছেলে গুরুতর আহত ভুক্তভোগী মো:বাপ্পি।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট রাতে কৈয়ারবিল মতির বাপের পাড়া ব্রিজ এলাকায় খাল দখল করে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে আসামি রুবেল, হেলালী, আরাফাত, পারভেজ ও নুরুল হুদা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লোহার রড, দা, চুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে বাপ্পির উপর হামলা চালায়। এতে বাপ্পির ঠোঁট ছিঁড়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও জখম হয়। পরে তার ঠোঁটে তিনটি সেলাই দিতে হয়। এসময় তার পকেটে থাকা নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাপ্পির মা ফেরদৌস বেগম অভিযোগ করে বলেন, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরে স্থানীয় আরাফাত ও সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী হেলালী তার ছেলে বাপ্পিকে হুমকি দিয়ে আসছিল। প্রশাসনের কথা বলে আরাফাতের মাধ্যমে হেলালী ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছিল হেলালী। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি। বরং বিচারাধীন অবস্থায়ই আসামিরা খুন করার উদ্দেশ্যে তার ছেলের উপর হামলা চালিয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরদিন ২৩ আগস্ট উপজেলা প্রশাসন উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মামলার বাদি ও তার পরিবারকে আসামিপক্ষের লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আরমান হোসেন বলেন, “মারধরের ঘটনায় মাছশ্রমিক মো. বাপ্পির দায়ের করা মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”