কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের প্রায় দেড় লক্ষ বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়ে আসছেন—ফেরি সার্ভিস চালু করা। ঝুঁকিপূর্ণ নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোট ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কুতুবদিয়া থেকে চকরিয়া মগনামা ঘাট পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে এই নৌ পথের কার্যক্রম, যা স্থানীয়দের জন্য চরম কষ্টদায়ক ও ব্যয়বহুল।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, ফেরি চালু হলে মালামাল পরিবহন সহজ হবে, খরচ কমবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। এছাড়া, মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ফেরি সার্ভিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত থাকার কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। তারা মনে করেন, দুর্বল নেতৃত্ব এবং সিন্ডিকেটের কারণে তাদের এই দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন মহল এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করেছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক আকবর খান বলেন, "স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা একটি স্থায়ী ফেরি সার্ভিসের সুবিধা পাইনি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।" দ্বীপের উন্নয়নে এই সার্ভিস চালু করা এখন সময়ের দাবি।
কুতুবদিয়া উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি হুমায়ুন সিকদার বলেন, 'সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি দ্বীপবাসী। ফেরি সার্ভিস চালু অনেক দিনের দাবি এখানকার বাসিন্দাদের। কার কথা কে শোনে! ফেরি চালু হলে নিত্যপণ্য আনা-নেওয়ার চাহিদা পূরণ হবে। মানুষের খরচও কমবে। কিন্তু সিন্ডিকেট চক্র উন্নয়ন চায় না। তাদের এমন জঘন্য কার্যক্রমে কষ্ট পাচ্ছে কুতুবদিয়ার হাজার মানুষ। ঘাট ইজারাদারদের কালো ইশারায় ফেরি সার্ভিস চালু করা হচ্ছে না।’
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কীভাবে এই দাবিকে বাস্তবায়ন করবে এবং কত দ্রুত তা করবে, সেই প্রত্যাশা দ্বীপবাসীর। কুতুবদিয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাদের জীবনযাত্রায় নতুন গতি আনতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।