শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত আইমান একই গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে এবং স্থানীয় আড়কান্দি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্লে-ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরে আইমান। কিছুক্ষণ পর বোনের লাল রঙের সাইকেল নিয়ে খেলতে বের হয় সে। এর পর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। রাতে ভেড়ামারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তারা।
শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের কিনারা থেকে কিছুটা দূরে পানির নিচে মানুষের পায়ের আঙুল দেখতে পান স্থানীয়রা। তারা দ্রুত আইমানের পরিবারকে খবর দিলে, গ্রামবাসী মিলে পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। একই সময় পুকুরের কিনারায় ভেসে থাকতে দেখা যায় তার ব্যবহৃত লাল রঙের সাইকেলটি।
নিহতের ফুপা নোমান জহির রাজা বলেন, “গতকাল বেলা ১১টার দিকে আইমানের স্কুল ছুটি হয়। সাড়ে ১১টার দিকে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতেই থানায় জিডি করেছিলাম। আজ সকালে পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল রব তালুকদার বলেন, “শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পরিবার থানায় জিডি করেছিল। সকালে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মা-বাবার বরাত দিয়ে বলা যায়, সাইকেল চালাতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায় এবং আর উঠতে পারেনি। এ ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক শোকের সৃষ্টি করেছে। গ্রামের সবাই বলছেন, চঞ্চল-হাসিখুশি আইমানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। পুকুরপাড়ের সেই সাইকেল এখন শোকের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
No comments found