close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কুষ্টিয়া দৌলতপুরের একই পরিবারের ৭ জন নিহত, যুবদলের শোক প্রকাশ..

মোঃ সম্রাট আলী avatar   
মোঃ সম্রাট আলী
নাটোর মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনসহ মোট আটজন নিহত হয়েছেন।..

নাটোর মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনসহ মোট আটজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার অন্তর্গত আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম ফরাজী'র স্ত্রী এবং ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। মাইক্রোবাসের চালকও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

দুর্ঘটনার পেছনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি যানবাহনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং উদ্ধারকাজে সহায়তা করে। তবে, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আটজনের মৃত্যু ঘটে, যা স্থানীয় জনগণের মাঝে শোকের ছায়া ফেলেছে।

যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক শরীফ উদ্দীন জুয়েল এবং সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের দাপ্তরিক শোকবার্তায় বলা হয়েছে, "এতগুলো প্রাণের অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই দুর্ঘটনার শোক সইবার শক্তি দিন।"

যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ তানভীর আহমেদ খান ইকরামের স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, "একই পরিবারের এতগুলো প্রাণ ঝরে যাওয়ার ঘটনা অতি মর্মস্পর্শী। আমরা নিহতদের জন্য দোয়া করি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।"

সড়ক দুর্ঘটনার এই ঘটনা বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর আবারও প্রশ্ন তুলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা। সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা মূলত যানবাহনের দ্রুতগতি, চালকদের অদক্ষতা এবং সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে।

এই শোকাবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিপর্যস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুত সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া, দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলোকে মানসিক সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। আশা করি, তাদের এই শোক সইবার শক্তি আল্লাহ দান করবেন এবং তাদের প্রিয়জনদের আত্মার মাগফিরাত করবেন।

Nema komentara