আটক ব্যক্তির নাম জুম্মান খান (২৬)। তিনি কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার একরাম খানের ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, আদালতের বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগে থেকেই এজলাসকক্ষে বসে ছিলেন ওই যুবক। বিচারক আসার আগমুহূর্তে কোর্ট পুলিশের সদস্যরা সবাইকে বাইরে যেতে বললে তিনি সন্দেহজনকভাবে সেখানেই বসে থাকেন। এতে পুলিশের নজরে আসে তাঁর অস্বাভাবিক আচরণ। পরে দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পেছনের পকেট থেকে ১৩ ইঞ্চি লম্বা সুইচ গিয়ারের মতো ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মিস্ত্রী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুম্মানের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আদালতের ভেতর বড় ধরনের অপরাধ ঘটানোর উদ্দেশ্যে আগেভাগে এজলাসকক্ষে প্রবেশ করেছিল সে। তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই তিনটি মামলা রয়েছে।
ঘটনার পর কোর্ট পুলিশের এটিএসআই আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, “এজলাসকক্ষে ধারালো অস্ত্রসহ প্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আটক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
এই ঘটনায় আদালতপাড়া ও প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি আদালতের ভেতর ও আশপাশে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
לא נמצאו הערות