কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদকবিরোধী প্রতিবাদে যুবককে প্রকাশ্যে হত্যা, প্রধান আসামি ডালিমসহ ৮ জন আটক..

এইচ,এম,এ ভূঁইয়া avatar   
এইচ,এম,এ ভূঁইয়া
পূর্ব হাউসদিতে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবক আল-আমিনকে নির্মমভাবে হত্যা, সেনা গোয়েন্দা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক..

দাউদকান্দি (কুমিল্লা), ৯ অক্টোবর ২০২৫:  

দাউদকান্দি উপজেলার পূর্ব হাউসদি গ্রামে মাদকবিরোধী প্রতিবাদ করায় স্থানীয় যুবক আল-আমিন (২৮)-কে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আল-আমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তুলছিলেন এবং একাধিকবার স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদক কারবারি ডালিম-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনার দিন দুপুরে আল-আমিন বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডালিম ও তার সহযোগীরা তাকে রাস্তায় একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় যুবক রুবেল তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

এদিকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ডালিমসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্যকে আটক করেছে। আটকদের মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদক ব্যবসার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন,  
“এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি ব্যক্তিগত শত্রুতা নয়, এটি সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে দমন করার চেষ্টা। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। দাউদকান্দিকে মাদকমুক্ত রাখতে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।”

নিহত আল-আমিনের পরিবার ও এলাকাবাসী দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।  
ঘটনার পরপরই স্থানীয়ভাবে মানববন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিলো।  
স্থানীয় সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজ এই ঘটনাকে মাদকবিরোধী আন্দোলনের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে।

نظری یافت نشد


News Card Generator