close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কুমিল্লা কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন নজরুল হত্যা মামলার নারী আসামি স্মৃতি..

এইচ,এম,এ ভূঁইয়া avatar   
এইচ,এম,এ ভূঁইয়া
তিতাস উপজেলার আলোচিত নজরুল হত্যা মামলার নারী আসামি স্মৃতি মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মামলার পটভূমিতে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের বিবরণ রয়েছ..

কুমিল্লা | ২৬ আগস্ট ২০২৫ | নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস উপজেলার নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার নারী আসামি স্মৃতি আক্তার মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।  
স্মৃতি বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।  
কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব সম্পন্ন হয়।  
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

২০২৫ সালের ৬ আগস্ট রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাহাবৃদ্ধি গ্রামে ট্রাক্টরচালক নজরুল ইসলাম (৩৫)–কে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।  
ঘটনার মূল আসামি ছিলেন হোসেন ও তাঁর স্ত্রী স্মৃতি, যাঁরা নজরুলকে ফোনে ডেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান, এবং সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

নজরুলকে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকা হোসেন তাঁর মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করেন।  
তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্মৃতি তাঁর মুখ চেপে ধরেন, এবং হোসেন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।  
পরে মরদেহ ৬ থেকে ৮ খণ্ডে বিভক্ত করে, বস্তায় ভরে তিতাস নদে ফেলে দেওয়া হয়।  
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় নদ থেকে বিচ্ছিন্ন হাতসহ কয়েকটি অংশ উদ্ধার করা হয়।

নজরুল নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর পরিবার থানায় জিডি করে।  
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হোসেন ও স্মৃতি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।  
জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যা ও মরদেহ খণ্ডিত করার বিষয়টি স্বীকার করে।  
নিহতের পিতা হানিফ ভূঁইয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে হোসেন ও স্মৃতিকে প্রধান আসামি করা হয়।

স্মৃতি আক্তার কারাগারে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ছিলেন।  
বাংলাদেশ কারা আইন অনুযায়ী, গর্ভবতী বন্দিদের চিকিৎসা ও প্রসবকালীন সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের।  
এই ঘটনার মাধ্যমে একটি ভয়াবহ অপরাধের পটভূমিতে জন্ম নেওয়া একটি নতুন প্রাণ আমাদের সামনে আসে, যা মানবিক ও সামাজিকভাবে গভীর আলোচনার বিষয়।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি