সত্যজিৎ দাস:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিএনপির কয়েকটি ওয়ার্ড কমিটিতে বিতর্কিত ও সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে কাউন্সিল ছাড়াই কমিটি গঠনের অভিযোগ ওঠায় সেসব কমিটি বাতিল করেছে জেলা বিএনপি।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করীম ময়ুন। তিনি জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থে,ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মীদের মূল্যায়নের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং মানববন্ধন করেন। তারা লিখিত অভিযোগসহ বিষয়টি উপজেলা ও জেলা বিএনপির দপ্তরে জমা দেন।
জেলা আহ্বায়ক ফয়জুল করীম বলেন,"কোনো কাউন্সিল ছাড়াই ওই কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে ত্যাগী নেতাকর্মীরা উপেক্ষিত হন। এতে দলে বিভাজন তৈরি হওয়ার শঙ্কা ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঐক্য রক্ষার্থে এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিতে।"
তিনি জানান,বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান,বিএনপি নেতা জুনেদ আহমদ,বরমচাল ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোক্তাদির মুক্তার,ইউনিয়ন আহ্বায়ক আং জহুর ডেন,যুগ্ম আহ্বায়ক তোফায়েল আহমদ জমশেদকে।
এই টিমকে আগামী চার দিনের মধ্যে নতুন কমিটি প্রস্তাবের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেদওয়ান খান জানান,"বরমচালের ৮ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড এবং কাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতেও অনিয়ম ও অভিযোগ থাকায় সেগুলো বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।"
উল্লেখ্য,“ফ্যাসিস্টের সুবিধাভোগীদের নিয়ে কমিটি গঠন,কুলাউড়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা” শীর্ষক সংবাদ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিতর্কিত কমিটিগুলো বাতিল করে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
দলের অভ্যন্তরে ন্যায্যতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি একাধিক ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করেছে। এতে ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের পথ উন্মুক্ত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।